সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার রাতে সাওপাওলোর হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পেলে। এইদিন ফের একটি আবেগঘন পোস্ট করেন কেলি। পেলেকে ধন্যবাদ জানিয়ে কেলি লেখেন 'তোমাকে খুব ভালোবাসি।'

একমাসের লড়াই শেষ। ক্যানসারের কাছে হার মানলেন তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি ফুটবলার। গত ২৯ নভেম্বর কোলন টিউমারের কেমোথেরাপি এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পেলে। তারপর থেকেই বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে একেরপর এক পোস্ট করেছেন পেলে-কন্যা কেলি নাসিমেন্তো। বৃহস্পতিবার রাতে সাওপাওলোর হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পেলে। এইদিন ফের একটি আবেগঘন পোস্ট করেন কেলি। পেলেকে ধন্যবাদ জানিয়ে কেলি লেখেন 'তোমাকে খুব ভালোবাসি।'

পেলের মৃত্যুর পরই নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করলেন পেলের মেয়ে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে পেলের হাতের উপর অনেকগুলি হাত রাখা। সঙ্গে লেখা 'আজ আমরা যা কিছু সবই তোমার জন্য। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। তোমাকে খুব ভালোবাসি। শান্তিতে বিশ্রাম নাও।' এর আগেও ভক্তদের পেলের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন কেলি। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বাবার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন। কেলি লিখেছিলে,'ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে ও বিভিন্ন কারণ বসত বাবাকে আপাতত হাসপাতালে রাখাই ঠিক সিদ্ধান্ত হবে। তেমনটাই ঠিক করা হয়েছে। বাবার জন্য কাইপিরিনহাও বানাব। মজা করছি। বাবাকে খুব ভালোবাসি। আবার পরের সপ্তাহে নতুন খবর জানাব।'

হাসপাতালের বেডে শুয়ে ক্যানসারের যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াই করতে করতেও ফুটবলকে ছাড়েননি পেলে। হাসপাতাল থেকেই ব্রাজিলের জন্য গলা ফাটিয়েছেন। ব্রাজিলীয় ফুটবলারদের মনোবল বাড়াতে একাধিক পোস্টও করেছিলেন পেলে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের খেলতে নামার আগেই একটি টুইট করেন পেলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের একটি ছবি। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে সতীর্থদের সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছেন পেলে। ছবিটি টুইট করে পেলে লিখেছেন,'১৯৫৮ সালে রাস্তায় হাঁটার সময় আমি ভাবছিলাম বাবাকে দেওয়া কথা আমি কী ভাবে রাখব? আমি জানি, তোমরাও নিজেদের বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে চাও। কথা রেখ। আমি হাসপাতা শুয়েই তোমাদের জন্য গলা ফাটাব। শুভেচ্ছা রইল।'

আরও পড়ুন - 

'চিরশান্তিতে থাকুন পেলে', ফুটবল সম্রাটের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ লিওনেল মেসি

খবরের কাগজ পাকিয়ে গোল করে খেলা শুরু, ফুটবল-সম্রাটের মুকুট পরেই বিদায় পেলের

পেলে প্রশংসা করেছিলেন, এটাই জীবনের পরম প্রাপ্তি, জানালেন গৌতম সরকার