সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে ঘরবন্দি জীবনের ফলে শিশু থেকে বয়স্ক বাড়ছে শারীরিক দুর্বলতা
- ঘরে বসেই স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটি বা ফিটনেস চর্চা নিয়ে হাজির আপউগো.ইন
- শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ করতে সাহায্য করবে ৭ মাস বয়সী এই স্টার্টআপ
- ইতিমধ্যেই অনলাইনে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে আপউগো.ইন-এর
করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে প্রতিদিন দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও সংক্রমণ রোধে চলছে লকডাউন। যার ফলে ঘরবন্দি অবস্থাতেই জীবন কাটাচ্ছেন সকলে। করোনাভাইরাস অনেক পরিবর্তনও এনে দিয়েছে মানুষের জীবন-যাত্রায়। গৃহবন্দি জীবন-যাপনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমে গিয়েছে আমাদের দৈহিক কাজকর্ম। শিশু ও যুবক-যুবতীদের কমে গিয়েছে বাইরে খেলতে যাওয়া বা শরীরচর্চার বিষয়টি। যা শুধু মানব শরীরেই নয় প্রভাব ফেলছে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যেও। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে সেই সকল কোম্পানির যারা ফিটনেস বা খেলাধুলোর উপর কাজ করেন। তারা কী পদক্ষেপ নেন সেই দিকেই নজর ছিল আমজনতার। এই পরিস্থিতিতে সকলেই চাইছিল এমন একটা পন্থা যা ঘরে থেকেই মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অদল বদলের প্রস্তাব সুনীল গাভাসকরের, ঠিক কী বললেন সানি
ঠিক সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এল আপউগো.ইন। এই স্টার্টআপটি শিশু ও যুব সম্প্রদায়ের খেলধুলা তার অনুশীলনের উপর পূর্ব থেকেই কাজ করে আসছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আপউগো বুঝতে পারে যে কীভাবে ঘরে থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায় সেদিকেই নজর দেওয়া ও তারউপর কাজ করা। আপউগোর প্রতিষ্ঠাতা অমিত গুপ্তা জানিয়েছেন, আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম যে শিশুরা পর্যাপ্ত শারীরিক সংস্পর্শে আসে না। এই পরিস্থতিতে আমরা চাইছিলাম এমন একটি ধারণা ভিত্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে যার মাধ্য়মে শিশুরা ও যুব সম্প্রদায় ঘরে বসেই শরীরচর্চা করতে পারে ও মানসিক সুস্থতা বজার রাখতে পারে। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য আমরা যুগোপযোগী ও ফিটনেসকে উৎসাহিত করার জন্য একটা ভার্চুয়াল মাধ্যম তৈরি করি। যার ফলে বাড়িতে থেকেই খুব সহজে এটি ব্যবহার করা যাবে। এমনকী ৬ মাস আগে থেকেই এর উপর কাজ শুরু করেছি এবং খুব ভালভাবেই তা এগোচ্ছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হই। অ্যাপার্মেন্টগুলি আমাদের প্রবেশে বাধা দেয়। আমাদের অনলাইনের কাজ আগে থেকেই চলছিল। করোনা আতঙ্কের পর থেকে আমরা পুরোপুরিভাবে অনলাইনে কাজ করা শুরু করি। যা মানুষের মধ্য়ে আমাদের গ্রহণযোগ্য়তাও বাড়িয়েছে। তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপউগোর টিম কাজ করেছে ও সাফল্য লাভ করেছে। সেই পদ্ধতিগুলি সম্পর্কেও জানিয়েছেন অমিত গুপ্তা।
আরও পড়ুনঃকরোনা ভাইরাস আমাদের অনেক দয়াশীল করে তুলেছে, বললেন বিরাট কোহলি
আরও পড়ুনঃআর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে ভারতের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
১. পরিস্থিতি স্বীকার করে সংরক্ষণের বিপরীতে পুনরায় উদ্ভাবন করা
করোনা ভাইরাসের ধাক্কার পর আপউগো শুধু মাত্র কোম্পানি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা না করে নতুন সুযোগ তৈরি করার দিকে তাকিয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করার পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া গ্রাহকদের ধরে রাখার জন্য ঘরেই ওয়ার্কআউটের সাধারণ পদ্ধতিগুলি ব্যাখা করেছে।
২. তৎপরতা ও পরিবর্তনসমূহের প্রতি নম্রতা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরে শিশুদের ঘরের বাইরে বেরোনা সম্ভাব নয়। ফলে আমাদের সম্পূর্ণ ৩৬০ ডিগ্রি বিপরীতে পরিকল্পনা তৈরি করতে হয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেটের মাধ্যমে আমরা তাদের ব্যস্ত রাখি। যার মাধ্যমেই তারা সুস্থ ও সবল থাকে। একইসঙ্গে আনন্দ উপভোগ করে।
৩. অসীম মানসিকতা
ইতিবাচক মন সবসময় বিশ্বাস করে যে সম্ভাবনার কোনও শেষ নেই। আর দল যদি সঠিক পথে থাকে তাহলে সাফল্য আসবেই। আমরা প্রতিকুলতাকে কখনই ভয় পাইনি, প্রতিকুলতকে হারিয়ে কীভাবে , কোন পথে এগিয়ে যাওয়া যায় ও সাফল্য অর্জন করা যায় সেই পরিকল্পনা করেছি। আর বর্তমানে বিশ্বজুড়ে লক্ষ-লক্ষ শুধু শিশুরাই নয়, সব বয়সের মানুষ আপউগোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং নিজেদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও সবল রাখছে। আমরা এখন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, জুমে লাইভব ক্লাস করাই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সেই ক্লাসে অংশ নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রাহকের সংখ্যা প্রতিনিয়ত আমাদের দ্রুতগতিতে বাড়ছে। করোনা ভাইরাস মহামারীর আগে আপউগো কেবল মাত্র বেঙ্গালুরুতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা দেশে ও দেশের সীমানা অতিক্রম করে গিয়েছে। ফলে ইচ্ছে শক্তি ও জেদ থাকলে সব বাধা অতিক্রম করে সাফল্য যে আসা নিশ্চিত আপউগো তার জ্বলন্ত উদাহরণ।