সংক্ষিপ্ত

ভারতের সর্বকালের সেরা অ্যাথলিট কি নীরজ চোপড়া? এখন বোধহয় আর কেউই বিশেষ তর্ক করবেন না। সাফল্যের বিচারে মিলখা সিং, পি টি ঊষাকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন নীরজ।

প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জিতলেন নীরজ চোপড়া। ফাইনালে ৮৮.১৭ মিটার থ্রো করে সোনা জিতলেন নীরজ। প্রথম থ্রোয়ে ফাউল করার পর দ্বিতীয় থ্রোয়ে এই দূরত্বে জ্যাভলিন পাঠিয়ে দেন নীরজ। এই থ্রো-ই তাঁকে সোনা জিতিয়ে দিল। ফাইনালে নীরজ ছাড়াও আরও ২ ভারতীয় অ্যাথলিট ছিলেন। ডি পি মনু ও কিশোর জেনাও ভালো পারফরম্যান্স দেখালেন। তাঁরা পদক জিততে না পারলেও, প্রথম ৬ জনের মধ্যে থাকলেন। এশিয়ান গেমস ও প্যারিস অলিম্পিক্সের আগে জ্যাভলিন থ্রোয়ে ভারতীয়দের পারফরম্যান্স আশা জাগিয়ে তুলেছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সময়ই অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেন নীরজ। তিনিই প্যারিসে ভারতের প্রধান ভরসা।

অঞ্জু ববি জর্জের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ২০২২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো পান নীরজ। এবার তিনি সোনা জিতে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন। ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের লক্ষ্যে ভারতের সর্বকালের সফলতম অ্যাথলিট।

পদক জয়ের ক্ষেত্রে নীরজের সামনে অন্যতম বাধা ছিলেন পাকিস্তানের অ্যাথলিট আর্শাদ নাদিম। তিনি রুপো পেলেন। তাঁর সেরা থ্রো ৮৭.৮২ মিটারের। এই প্রথম পাকিস্তানের কোনও অ্যাথলিট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক পেলেন। ব্রোঞ্জ পেলেন চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যাকুব ভ্যাডলেজশ। তাঁর সেরা থ্রো ৮৬.৬৭ মিটারের। ৫ নম্বরে থাকলেন কিশোর। তাঁর সেরা থ্রো ৮৪.৭৭ মিটারের। ৬ নম্বরে শেষ করলেন মনু। তাঁর সেরা থ্রো ৮৩.৭২ মিটারের।

মহিলাদের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজের ফাইনালে ১১ নম্বরে শেষ করলেন পারুল চৌধুরী। তিনি ৯ মিনিট ১৫.৩১ সেকেন্ড সময় করেন। তবে জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন এই অ্যাথলিট। একইসঙ্গে তিনি প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতাও অর্জন করেছেন। প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করার মানদণ্ড ছিল ৯ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। তার চেয়ে কম সময়ই নেন পারুল। ফলে তাঁকে অলিম্পিক্সে দেখা যাবে।

প্রথমবার ফাইনালে উঠে আশা জাগিয়েও ৪×৪০০ মিটার দৌড়ে পদক পেল না ভারতের পুরুষদের রিলে দল। ২ মিনিট ৫৯.০৫ সেকেন্ড সময় করে নতুন এশিয়ান রেকর্ড গড়ে ফাইনালে ওঠেন মহম্মদ আনাস ইয়াহিয়া, অ্যামোজ জ্যাকব, আজমল ভারিয়াথোডি ও রাজেশ রমেশ। ফাইনালেও ভালো পারফরম্যান্স দেখান তাঁরা। কিন্তু পদক এল না। পঞ্চম স্থানে শেষ করল ভারত। আনাস, অ্যামোজ, আজমল ও রাজেশ ২:৫৯:৯২ সেকেন্ড সময় করেন। চতুর্থ স্থানে শেষ করে জামইকা। ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রের অ্যাথলিটরা ২:৫৯:৩৪ সেকেন্ড সময় করেন।

আরও পড়ুন-

ব্যাডমিন্টন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সেমি-ফাইনালে হার, ব্রোঞ্জ পেলেন প্রণয়

দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে লড়াই করেও হার প্রজ্ঞানানন্দর

Sachin Tendulkar : অভিষেক বচ্চনের ছবি ঘুমর দেখলেন, উচ্ছ্বসিত সচিন তেন্ডুলকর