সংক্ষিপ্ত
ভারতে ক্রমশঃ জনপ্রিয় হচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। উত্তরাখণ্ড, সিকিম, গোয়ার মতো রাজ্যগুলিতে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।
পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে পাহাড়ে শুধু বেড়াতে যাওয়া নয়, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। যাঁরা নিয়মিত ট্রেকিং করেন তাঁদের পাশাপাশি সাধারণ পর্যটকরাও বাঞ্জি জাম্পিং, রিভার র্যাফটিং, প্যারাগ্লাইডিংয়ের রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিতে চাইছেন। উত্তরাখণ্ড, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, গোয়ার মতো রাজ্যগুলিতে নানা ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব বয়সের পর্যটকরাই সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। হৃষীকেশে বাঞ্জি জাম্পিংয়, রিভার র্যাফটিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গোয়াতেও বাঞ্জি জাম্পিংয়ের রোমাঞ্চকর অনুভূতি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে ঋষীকেশের বাঞ্জি জাম্পিং বেশি জনপ্রিয়। কারণ, দেশের আর কোনও জায়গায় এত উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পিং হয় না। ঋষীকেশের গঙ্গায় র্যাফটিং অনেকদিন ধরেই জনপ্রিয়। খরস্রোতা গঙ্গায় রাবারের নৌকা নিয়ে ভেসে পড়ার মজাই আলাদা। বিভিন্ন দূরত্বে র্যাফটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ র্যাফটিং করতে পারেন। র্যাফটিং করার ফাঁকে নৌকা থেকে গঙ্গার কনকনে ঠান্ডা জলে লাফিয়ে পড়ার মজাই আলাদা। এই রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে অনেকেই হৃষীকেশে যান।
ভারতের মতো ভৌগলিক বৈচিত্র খুব কম দেশেই আছে। পাহাড়, সমুদ্র, মরুভূমি সবই আছে এদেশে। ফলে হ্যাং গ্লাইডিং, স্কুবা ডাইভিং, হট এয়ার বেলুনিং, স্নো স্কিইংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসগুলি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। হৃষীকেশে বাঞ্জি জাম্পিং, রিভার র্যাফটিংয়ের পাশাপাশি বেশ জনপ্রিয় জায়ান্ট স্যুইং। নিউজিল্যান্ডের ক্যানিয়ন স্যুইংয়ের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে জায়ান্ট স্যুইং। ফ্রি ফলের মতো রোমাঞ্চ পাওয়া যায়। অনেকেই এই অভিজ্ঞতা নিতে যাচ্ছেন।
দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে সিকিম অত্যন্ত জনপ্রিয়। অনেকেই হাইকিং, ট্রেকিংয়ের জন্য সিকিমে যান। রাবাংলা, বার্সের মতো জায়গাগুলিতে বছরের বেশিরভাগ সময়ই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে।
ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর সারা বছরই পর্যটকদের কাছে স্বর্গরাজ্য। তবে শীতকালে উপত্যকার সৌন্দর্য অন্যরকম থাকে। শীতকালে অনেকেই স্কিইংয়ের মজা নিতে গুলমার্গে যান। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য গুলমার্গ বিখ্যাত। স্কিইংয়ে যাঁরা অভিজ্ঞ তাঁদের পাশাপাশি অনভিজ্ঞরাও গুলমার্গে ভিড় জমান।
অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সময় ভয় পান না এমন খুব কম মানুষই আছেন। কিন্তু ভয়কে জয় করে একবার বাঞ্জি জাম্পিং, জায়ান্ট স্যুইং বা র্যাফটিং শুরু করে দিলে তারপর যে রোমাঞ্চকর অনুভূতি হয় সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রত্যেকেই এই রোমাঞ্চের শরিক হতে পারেন।
আরও পড়ুন-
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হকি স্টিক, রেকর্ড গড়লেন বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক
উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চলে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, সাহায্যে এগিয়ে এল ভারতীয় সেনা
রাহুল-আথিয়ার বিয়ে, তোড়জোড় শুরু ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান