সংক্ষিপ্ত

ইতিহাস গড়লেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। ত্রিপুরা নিবাসী এই জিমন্যাস্ট অলিম্পিকে টিকিট না পেলেও ফের ছুঁয়ে ফেললেন আরও একটি মাইলস্টোন। এশিয়ান জিমন্যাস্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসেবে সোনা জিতলেন তিনি।

ইতিহাস গড়লেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। ত্রিপুরা নিবাসী এই জিমন্যাস্ট অলিম্পিকে টিকিট না পেলেও ফের ছুঁয়ে ফেললেন আরও একটি মাইলস্টোন। এশিয়ান জিমন্যাস্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসেবে সোনা জিতলেন তিনি।

তবে পথটা এত সহজ ছিল না। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, দীপা আদৌ রিংয়ে নামতে পারবেন কি না সেই বিষয়েই সন্দিহান ছিলেন অনেকে। কিন্তু ইতিহাস গড়লেন ত্রিপুরার দীপা। স্কিল, জেদ, আর মনের ইচ্ছাকে সঙ্গী করেই ফের বাজিমাৎ করলেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার।

এই বছর মহিলাদের এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয় উজবেকিস্তানের তাসখন্দে। আর এই প্রতিযোগিতারই ভল্ট বিভাগে নজরকাড়া সাফল্য পেলেন দীপা। চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগে রিও অলিম্পিকে চতুর্থ হন ভারতীয় এই জিমন্যাস্ট।

জয়ের সময় দীপার স্কোর ছিল ১৩.৫৬৬। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে উত্তর কোরিয়ার কিমং সং ইউন ও জো কিয়ন বোল। উল্লেখ্য চলতি এই প্রতিযোগিতায় দীপার হাত ধরেই ভারতের ঝুলিতে এল প্রথম পদক। আর সেটিও আবার সোনা। এই টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং ফিলিপিন্স, বেশ অনেকগুলি করে পদক পেয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, দীপার হাত ধরে ভারতও সেই তালিকায় স্থান করে নিল।

একটা সময় চোট এবং ডোপিংয়ের অভিযোগে দীপা অনেকটাই পিছিয়ে গেছিলেন নিজের ক্যারিয়ারে। সেই সময় দাঁড়িয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন যে, তিনি হয়ত অবসর নেবেন। কিন্তু সেইসব জল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিলেন দীপা নিজেই। তাঁর এই হাল না ছাড়া মনোভাবের জন্যই ফিরে আসতে পারলেন। তবে গত বছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরলেও, ভালো পারফর্ম করতে পারেননি তিনি।

কিন্তু এবার যেন জয়ের লক্ষ্যেই নেমেছিলেন দীপা। গত ২০১৬ সালে তাঁর স্বপ্নের দৌড় শুরু হয়। সেই বছর রিও অলিম্পিকে ভল্ট ফাইনালে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকেই যেন ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছিলেন এই জিমন্যাস্ট। তবে কোণঠাসা হয়েও যে এইভাবে ফিরে আসা যায়, তার প্রমাণ দিলেন দীপা। কার্যত উদাহরণ তৈরি করলেন দীপা কর্মকার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।