সংক্ষিপ্ত

শীতকালে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের আয়োজন করা হয়। পাহাড়, সমুদ্র, নদীর পাশাপাশি মরুভূমিতেও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ব্যবস্থা রয়েছে।

অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকরা সারা বছরই পাহাড়ে ছুটে যান। যাঁরা নিয়মিত ট্রেকিং করেন তাঁদের পাশাপাশি সাধারণ পর্যটকরাও পাহড়ের আকর্ষণ এড়াতে পারেন না। বিশেষ করে শীতকালে স্কিইং, স্নো স্কুটারের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে অনেকেই হিমাচল প্রদেশ, কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলিতে যান। বছরের অন্যান্য সময়ে আবার প্যারাগ্লাইডিং, বাঞ্জি জাম্পিং, ফ্লাইং ফক্স, জায়ান্ট স্যুইংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার আছে। তবে শীতকালে পাহাড়ের পাশাপাশি মরুভূমিতেও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের বিশেষ আয়োজন করা হয়। বাঙালির অতি পরিচিত 'সোনার কেল্লা'-র শহর জয়সলমীরে গত ৪৩ বছর শীতকালে আয়োজিত হয়ে আসছে জয়সলমীর ডেজার্ট ফেস্টিভ্যাল। এবার এই উৎসবের ৪৪ বছর। ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই সময় জয়সলমীর অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ফেলুদা, তোপসে, জটায়ুর মতো উটে চড়া তো আছেই, পাশাপাশি আরও নানা ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে যাঁরা এই সময় রাজস্থান বেড়াতে যাচ্ছেন তাঁরা জয়সলমীরে বাড়তি দু-একদিন থাকার পরিকল্পনা করতেই পারেন।

জয়সলমীর ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের অন্যতম আকর্ষণ অবশ্যই ক্যামেল সাফারি। উটের পিঠে চেপে ঘুরে বেড়ানোর সময় মরুভূমির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। মরুভূমিতে সূর্যাস্তও অত্যন্ত সুন্দর দেখতে লাগে।

মরুভূমিতে প্যারাসেলিংও করা যায়। মাটি থেকে যেভাবে মরুভূমি দেখা যায়, আকাশ থেকে সম্পূর্ণ অন্যরকম লাগে। সেই কারণে অসংখ্য পর্যটক প্যারাসেলিং করেন। এটি জয়সলমীরের অন্যতম বিখ্যাত অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস।

জয়সলমীর ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের অন্যতম আকর্ষণ মোটর প্যারাগ্লাইডিং। এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে পর্যটকরা শূন্যে উঠে গেলেও, তাঁদের গতিবিধ নিয়ন্ত্রণ করা হয় মাটি থেকে। ফলে যেদিকে গেলে সবচেয়ে ভালোভাবে মরুভূমির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় সেদিকেই নিয়ে যান পাইলট।

হেলিকপ্টারে চড়েও থর মরুভূমি ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে। প্যারাসেলিং, মোটর প্যারাগ্লাইডিংয়ের রোমাঞ্চ না থাকলেও, হেলিকপ্টারে আরামে বসে ভালোভাবে মরুভূমি দেখা যায়।

কোয়াড বাইকে চড়েও মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ানো যায়। বালিয়াড়ির উপর দিয়ে কোয়াড বাইক চালানোর মজাই আলাদা। থর মরুভূমির সৌন্দর্য কাছ থেকে উপভোগ করার জন্য কোয়াড বাইকের চেয়ে ভালো আর কিছু নেই।

হুডখোলা জিপ বা গাড়িতে চড়েও মরুভূমি ঘুরে দেখা যায়। প্রতিটি জিপে সর্বাধিক ৪ জনের জায়গা থাকে। জিপ বা গাড়িতেও বালিয়াড়ির উপর দিয়ে যেতে ভালোই লাগে। 

মরুভূমির রাতের রূপ উপভোগ করারও ব্যবস্থা থাকে। পর্যটকরা চাইলে খোলা জায়গায় তাঁবুতে থাকতে পারেন।

আরও পড়ুন-

বাঞ্জি জাম্পিং, প্যারাগ্লাইডিং করার ইচ্ছা রয়েছে? আহ্বান জানাচ্ছে উত্তরাখণ্ড

১ ফেব্রুয়ারি শুরু গান্ধীসাগর ফ্লোটিং ফেস্টিভ্যাল, অ্যাডভেঞ্চারের জন্য তৈরি পর্যটকরা

জনপ্রিয়তা বাড়ছে কোস্টাল ট্রেকিংয়ের, নির্জন সমুদ্রতটের রোমাঞ্চ উপভোগ করছেন সব বয়সের মানুষ