সংক্ষিপ্ত
শীতকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের রোমাঞ্চ উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়। গান্ধীসাগর ফ্লোটিং ফেস্টিভ্যাল এমনই একটি উৎসব।
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর। এবারের গান্ধীসাগর ফ্লোটিং ফেস্টিভ্যাল শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি। বিশেষ উৎসব চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নানা ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। তারপরেও আরও ৬ মাস ধরে চলবে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। মধ্যপ্রদেশের চম্বল নদী বরাবরই পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। গান্ধীসাগর বাঁধে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের রোমাঞ্চ উপভোগ করার জন্য প্রতি বছরই বহু পর্যটক ভিড় জমান। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছেন আয়োজকরা। গান্ধীসাগর বাঁধের আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য অসাধারণ। ফলে পর্যটকদের কাছে গান্ধীসাগর বরাবরই আকর্ষণীয়। এখানে ফ্লোটিং ফেস্টিভ্যালের আকর্ষণও অমোঘ। এই উৎসবে ভাসমান মঞ্চ, মার্কেট, বোট স্পা, সাফারি, লাইভ মিউজিক অ্যান্ড পারফরম্যান্সের ব্যবস্থা থাকে। পর্যকদের জন্য বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা থাকে। রোজকার ব্যস্ততা থেকে কয়েকদিনের জন্য মুক্তি পাওয়ার জন্য অসংখ্য মানুষ গান্ধীসাগর ফ্লোটিং ফেস্টিভ্যালে যোগ দেন।
চম্বল নদীর উপর তৈরি গান্ধীসাগর বাঁধ। প্রায় ৬ দশক আগে মান্দসৌরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য এই বাঁধ তৈরি করা হয়। গান্ধীসাগর পাওয়ার স্টেশন লম্বায় ৬৫ মিটার এবং চওড়ায় ৫৬ ফুট। চম্বল, মান্দসৌর, মধ্যপ্রদেশের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল, এমনকী রাজস্থানের কিছু অঞ্চলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় গান্ধীসাগর পাওয়ার স্টেশন থেকেই। এখানেই গান্ধীসাগর ফ্লোটিং ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হয়।
মধ্যপ্রদেশের বিন্ধ্য পর্বত থেকে চম্বল নদীর উৎপত্তি। মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজস্থান হয়ে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে যমুনা নদীতে মিশেছে চম্বল নদী। এই নদী ঘিরে নানা উপকথা প্রচলিত। মান্দসৌর বেশ প্রাচীন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। বহু শতাব্দী আগেই এখানে সভ্যতার পত্তন হয়। ষষ্ঠ শতকে তৈরি যশোধর্মন বিজয়স্তম্ভের ভগ্নাবশেষ এখনও দেখা যায়। এই বিজয়স্তম্ভ 'মান্দসৌর ভিকট্রি পিলার' বা 'সোন্ধনী পিলার সাইট' হিসেবেও পরিচিত। এই অঞ্চলে যখন প্রথম জনবসতি স্থাপন করা হয়, তখন সেখানে ১০টি গ্রাম ছিল। সেই কারণেই পরবর্তীকালে এই অঞ্চলের নাম হয় মান্দসৌর। গান্ধীসাগর বাঁধের কাছেই লাদুনা, সীতামাউ, দশপুরা দুর্গ, ধর্মরাজেশ্বর, বৌদ্ধ গুহা, বহু প্রাচীন পাথর রয়েছে। যশোধর্মন প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালাও পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। এছাড়া মান্দসৌর দুর্গ, গান্ধীসাগর অভয়ারণ্য, তেলিয়া তালাবও এখানকার বিখ্যাত পর্যটনস্থল। এরই সঙ্গে যোগ হয়েছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। চম্বল নদী ও গান্ধীসাগর বাঁধের আকর্ষণ এড়ানো অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের পক্ষে কঠিন।
আরও পড়ুন-
অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে যোগ দিতে ভয় লাগে? এই পন্থা বেছে নিতে পারেন
জনপ্রিয়তা বাড়ছে কোস্টাল ট্রেকিংয়ের, নির্জন সমুদ্রতটের রোমাঞ্চ উপভোগ করছেন সব বয়সের মানুষ
মানালি বেড়াতে যাচ্ছেন? অ্যাডভেঞ্চারের শখ মিটিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছাড়বেন না