সংক্ষিপ্ত

আর মাত্র এক সপ্তাহের প্রতীক্ষা। তারপরই আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক্সের আসর। বিশ্বের অন্যতম মেগা স্পোর্টস ইভেন্ট। এবারের অলিম্পিক্স থেকে যেমন অনেক নতুন তারকা উঠে আসবেন, তেমনই কিছু ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক্সকে বিদায়ও জানাবেন।

আর মাত্র এক সপ্তাহের প্রতীক্ষা। তারপরই আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) আসর। বিশ্বের অন্যতম মেগা স্পোর্টস ইভেন্ট। এবারের অলিম্পিক্স থেকে যেমন অনেক নতুন তারকা উঠে আসবেন, তেমনই কিছু ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক্সকে বিদায়ও জানাবেন।

যেমন রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জোকোভিচের কথাই ধরা যাক। টেনিস জগতের দুই তারকা। জোকোভিচ যেমন সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের অধিকারী, ঠিক তেমনই নাদালের দখলে সবচেয়ে বেশি ফরাসি ওপেন খেতাব রয়েছে। এদের মধ্যে নাদাল আবার দুটি অলিম্পিক্সে পদক পেয়েছেন। গত ২০০৮ সালে বেজিংয়ে সোনা এবং গত ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক্সের ডবলসে সোনা জেতেন তিনি।

এবার তিনি অলিম্পিক্সে নামতে কার্যত মরিয়া ছিলেন। কারণ, পদক জিতেই অলিম্পিক্সকে বিদায় জানাতে চান রাফায়েল নাদাল। অন্যদিকে, জোকোভিচ এখনও অবসর নিয়ে কোনও কথা বলেননি। তবে এখনই তাঁর বয়স ৩৭ বছর। তাই আবার চার বছর পর তাঁকে দেখতে পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। আবার তিনি এখনও একটিও অলিম্পিক্স পদক জেতেননি।

এদিকে সিমোনে বাইলসের বয়স মোটেই বেশি নয়। কিন্তু তিনি যে খেলার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে গেলে তিনি অনেকটাই বয়স্ক। জিমন্যাস্টিক্সে আমেরিকার প্রবীণতম ক্রীড়াবিদ হিসাবে প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলেছেন বাইলস। তাঁর বয়স ২৭ বছর। গত টোকিও অলিম্পিক্সের পর মানসিক কারণে ২ বছরের বিরতি নেন তিনি। ফিরে এসে আবার সেরা ফর্মেই দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

গোটা বিশ্ব জুড়ে তিনি পদক জিতে বেড়াচ্ছেন। রিও অলিম্পিক্সে তো চারটি সোনা জেতেন তিনি। তবে টোকিও অলিম্পিক্সে একটিও সোনা জিততে পারেননি। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক্সে আবার পদক জেতার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।

ওদিকে অ্যান্ডি মারের দখলে রয়েছে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব। তবে কোনওদিনই টেনিস সার্কিটে রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল কিংবা নোভাক জোকোভিচকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি তিনি। কিন্তু অলিম্পিক্সের (Olympics) আসরে তাঁর সাফল্য যথেষ্ট ঈর্ষণীয়। অ্যান্ডি মারে এখনও পর্যন্ত অলিম্পিক্সে দুটি পদক জিতেছেন।

গত ২০১২ সালের লন্ডনে সিঙ্গলসে সোনা এবং মিক্সড ডবলসে রুপো জেতেন তিনি। তবে ব্রিটেনের এই টেনিস তারকাকে হয়ত আর পরের অলিম্পিক্সে খেলতে দেখা যাবে না। তার মূল কারণ, চোট-আঘাত।

এলিউড কিপচোগে এখনও পর্যন্ত অবসর ঘোষণা করেননি। কিন্তু কেনিয়ার এই দৌড়বিদ এমন ইঙ্গিতও দেননি যে, তিনি পরের অলিম্পিক্সেও খেলতে নামবেন। উল্লেখ্য, শেষ দুটি অলিম্পিক্সে দুটি করে সোনা জিতেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইথিওপিয়ার আবেবে বিকিলা এবং জার্মানির ওয়াল্ডেমার সিরপিনস্কির পর তৃতীয় দৌড়বিদ হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন কিপচোগে।

প্যারিসে যদি তিনি আর একটি সোনা জেতেন, তাহলেই তিনি বিশ্বের সফলতম দূরপাল্লার দৌড়বিদ হয়ে যাবেন। কার্যত, সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক গড়বেন তিনি।

লেব্রন জেমস অলিম্পিক্সে এখনও দুবার সোনা জিতেছেন। গত ২০০৮ সালে বেজিং এবং ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক্সে খেতাব জেতেন জেমস। তার আগে ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। অনেক আগেই তিনি ঘোষণা করে দেন যে, প্যারিস অলিম্পিক্সই তাঁর শেষ অলিম্পিক্স। এই ৩৯ বছরের বাস্কেটবলার আমেরিকার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি আলাদা আলাদা দশকে অলিম্পিক্স খেলবেন তিনি।

এদিকে শেলি অ্যান ফ্রেজ়‌ার প্রাইস, জামাইকার এই স্প্রিন্টার অনেক আগেই জানিয়ে দেন এটাই তাঁর শেষ অলিম্পিক্স। এই নিয়ে পঞ্চমবার অলিম্পিক্সে নামছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত মোট আটটি পদক জিতেছেন। তার মধ্যে রয়েছে আবার তিনটি সোনা। প্যারিসে তাঁর মূল লড়াই শাকারি রিচার্ডসনের সঙ্গে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।