সংক্ষিপ্ত

  • করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে
  • পরের বছর নাও হতে পারে এই টেনিস প্রতিযোগিতা
  • আশঙ্কা প্রকাশ করলেন টেনিস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান
  • ফের বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের
     

বিশ্ব জুড়ে নিজের দাপট দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস। পরিস্থিতি যা পুরোপুরি স্বাভাবিক কবে হবে পৃথিবী সেই উত্তর সকলের অজানা। কোভিড ১৯-এর জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ক্রীড়া বিশ্বে। ফুটবল, ক্রিকেটের পাশাপাশি ব্যাপক প্রভাব পড়েছে টেনিসেও। চলতি বছরে করোনার কারণে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর প্রথম বাতিল হয়ে গিয়েছে উইম্বলডন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে ফরাসী ওপেনা। সেপ্টেম্বরে ফরাসী ওপেন হবে কিনা তা নিয়েও  রয়েছে সংশয়। মরশুম শেষের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ভাগ্য নির্ধারিত নয় এখনও। এই পরিস্থিতিতে আগামী বছর মরসুমের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০২১-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করল টেনিস অস্ট্রেলিয়া। পরের বছর সঠিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া ওপেন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান টেনিস অস্ট্রেলিার কর্তারা।

আরও পড়ুনঃকরোনা থেকে পুরোপুরি সুস্থ দিবালা, শীঘ্রই যোগ দেবেন অনুশীলনে

করোনা ভাইরাসের জেরে অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্য়া ছাড়িয়েছে ৭ হাজার। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চলছে লকডাউন। করোনার যে হারে গোটা পৃথিবীতে প্রভাব ফেলেছে তাতে অস্ট্রেলিয়া সরকার আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কবে থেকে ফের বিমান পরিষেবা শুরু হবে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তাই  টেনিস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ক্রেগ টিলে জানিয়েছেন, আগামী বছর জানুয়ারিতেও আন্তর্জাতিক বিমান ওড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে তা মোটেই অস্ট্রলিয়ান ওপেনের জন্য ভালো খবর নয়। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা উঠলেও বহির্দেশের অনুরাগীরা কতটা অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তা নিয়েও চিন্তিত টিলে। এছড়াও টিলে জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে আমাদের হাতে চারটি পথ খোলা রয়েছে। প্রত্যেকটি বিকল্প পথ নিয়েই আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে আমার মতে সবচেয়ে নিরাপদ মনে হয় কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়ার অনুরাগীদের নিয়েই আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আয়োজন করা। এবং প্রত্যেক প্লেয়ারের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা।’ 

আরও পড়ুনঃশুরু হচ্ছে বুন্দেসলিগা,চিনে নিন লিগের ইতিহাসে সেরা দশ গোল স্কোরারদের

আরও পড়ুনঃজার্মান চ্যান্সেলরের সবুজ সংকেত, মে মাসের দ্বিতীয় ভাগেই ফুটবল ফিরছে জার্মানিতে

করোনা ভাইরাসের জেরে ক্রীড়া ক্ষেত্রে অন্যান্য় দেশের মতই ব্যাপক ক্ষতির সম্মখীন হতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। ইতিমধ্যেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদে ৮০ শতাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য লোনও নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তারউপর করোনা ভাইরাসের কারণে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে চলা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এবার অস্ট্রেলিয়া ওপেন নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। যার ফলে চিন্তার ভাজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের।