সংক্ষিপ্ত
আরও একটি বিভাগে এবার পদক জয়ের স্বপ্নভঙ্গ। ইকুয়েস্ট্রিয়ানের ইভেন্টিং জাম্পিংয়ের ব্যক্তিগত বিভাগের ফাইনালে উঠেছিলেন ভারতের ফওয়াদ মির্জা। কিন্তু ফাইনালে সাফল্য পেলেন না ফওয়াদ।
টোকিও অলিম্পিকে এখনও পর্যন্ত রূপো, ব্রোঞ্জ আসলেও, সোনা জয়ের স্বপ্ন এখনও অধরা দেশবাসীর। সোমবার একই দিনে জোড়া ইভেন্টের ফাইনালে অংশ নেয় ভারত। সোনা জয়ের আশাও করেছিলেন অনেকেই। কিন্ত শেষপর্যন্ত পদক আসল না ভারতের ঝুলিতে। ডিস্কাস থ্রোয়ের ফাইনালে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করলেন কমলপ্রীত কউর। তার লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলেই। অপরদিকে ইকুয়েস্ট্রিয়ানের ফাইনালে উঠেও শেষমেশ খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে ফওয়াদ মির্জাকে।
ইকুয়েস্ট্রিয়ানের ইভেন্টিং জাম্পিংয়ের ব্যক্তিগত বিভাগে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করার জন্য প্রথম ২৫ জনের মধ্যে জায়গা অর্জন করতে হয়। সোমবার দুরন্ত না হলেও, ধারাবাহিক পারফর্ম করেন ফওয়াদ মির্জা ও ফাইনালের টিকিট পাকা করে। ইন্ডিভিজুয়াল কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে ফওয়াদের খাতায় সার্বিকভাবে ৪৭.২০ পেনাল্টি পয়েন্ট যোগ হয়। ড্রেসেজে তাঁর সংগ্রহ ২৮.০০ পেনাল্টি পয়েন্ট। ক্রস কান্ট্রিতে তাঁর সংগৃহীত পেনাল্টি পয়েন্ট ১১.২০। ফার্স্ট জাম্পে তিনি নিজের ঘোড়া সেইগনেউর মেডিকোটকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রহ করেন ৮.০০ পেনাল্টি পয়েন্ট।
আরও পড়ুনঃTokyo Olympics 2020 - লড়েও ইতিহাস গড়া হল না কমলপ্রীতের, আরও এক পদক হারালো ভারত
আরও পড়ুনঃসেমিতে তার কাছে হেরেই হয়েছিল স্বপ্নভঙ্গ, খারাপ সময়ে সেই তাই জু-র পাশে সিন্ধু
আরও পড়ুনঃঅস্ট্রেলিয়ার আক্রমণের ঝড় একাই আটকেছেন, নেট দুনিয়ার নয়ণের মণি সবিতা 'দ্য ওয়াল' পুনিয়া
ফাইনালে ফওয়াদের কাছে দুরন্ত একটা পারফরমেন্স আশা করেছিল দেশবাসী। তারা প্রথমবার অলিম্পিকের মঞ্চে নিজদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার অভাবে পদক জয়ের স্বপ্ন পূরণ হল না। কিন্তু তাদের লড়াইকে কোনওভাবেই খাটো করা যায়না। ফাইনালে ফওয়াদ আলাম শেষ করলেন ২৩ নম্বরে। তবে এই অভিজ্ঞতা যে তাদের ভবিষ্যতে কাজে দেবে সেবিষয়ে আশাবাদী দেশবাসী। এখান থেকে নতুন করে লড়াই শুরু করাই লক্ষ্য ভারতীয় অশ্বারোহীর।