ইউপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জনতা দর্শনে এখন অন্য রাজ্যের লোকজনও তাদের সমস্যা নিয়ে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রী সবার সমস্যা শুনে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করার চেষ্টা করেন।
লখনউ, ৬ মে: হ্যালো, আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের কার্যালয় থেকে বলছি। আপনার রাজ্যের একজন নাগরিক তাঁর সমস্যা নিয়ে এখানে এসেছেন। উনি আপনার সঙ্গে দেখা করবেন। দয়া করে তাঁর সমস্যার সমাধান করার ব্যবস্থা করুন। উত্তরপ্রদেশের বাইরের রাজ্যের কর্মকর্তাদের কাছে প্রায়ই এমন ফোন করা হয়, কারণ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের 'জনতা দর্শনে' শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, অন্যান্য রাজ্যের ভুক্তভোগীরাও নিয়মিত আসছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ 'জনতা দর্শনে' প্রতিটি ভুক্তভোগীর কাছে নিজে যান। তাদের সমস্যা শোনেন এবং সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন তাঁর কার্যালয়কে। অক্টোবর ২০২৪ থেকে এপ্রিল ২০২৫ এর মধ্যে ইউপির বাইরের ৬৫ জন অভিযোগকারী 'জনতা দর্শন' ও সফরকালে যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেছেন। এদের সকলের অভিযোগ তাদের নিজ নিজ রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই ধরনের পদক্ষেপের কারণেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের 'জনতা দর্শন' নজিরবিহীন। অন্যান্য রাজ্যের নাগরিকরাও বিশ্বাস করেন, যোগী আছেন, তাই আশ্বাস আছে। সমাধান পেয়ে খুশি মুখে মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে ধন্যবাদ জানাতেও আসেন।
সাত মাসে এসেছেন ৬৫ জন অভিযোগকারী
সর্বজনবিদিত যে উত্তরপ্রদেশের ভুক্তভোগীদের সমস্যা দূর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সময়ে সময়ে জনতা দর্শন করেন। তিনি ভুক্তভোগীদের সমস্যা শোনেন এবং সমাধান করেন। আবেদনপত্রের উপর মুখ্যমন্ত্রী যোগীর পদক্ষেপ নজির স্থাপন করে। যোগী আদিত্যনাথ লখনউতে অবস্থিত সরকারি বাসভবনে সময়ে সময়ে নিজে জনতা দর্শন করেন। এছাড়াও গোরখপুর সফরকালে প্রতিদিন জনগণের সঙ্গে মুখোমুখি হন। তাঁর দিন শুরু হয় জনগণের সঙ্গে দেখা করে। গত সাড়ে ছয় মাসে বিহার, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, আসাম সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের ৬৫ জন অভিযোগকারী জনতা দর্শনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সমস্যা শুনেছেন এবং সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যে পাঠিয়েছেন।
উত্তরাখণ্ড সফরেও মুখ্যমন্ত্রী যোগীর কাছে এসেছে বেশ কিছু আবেদনপত্র
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তরাখণ্ড সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌড়ি গাড়োয়ালের বিথ্যানী গ্রামের প্রাক্তন সেনা মহেন্দ্র সিং নেগি মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদনপত্র দিয়েছিলেন। ঠাঙ্গার গ্রাম পঞ্চায়েতে এএনএম কেন্দ্রের উন্নয়ন সংক্রান্ত পত্রও মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডেরই রুচি চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে পত্র দিয়েছেন। যমকেশ্বর উন্নয়ন খণ্ডের একটি মন্দির কমিটির সভাপতি রূপচন্দ্র লখেরা মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে রাস্তা নির্মাণের জন্য আবেদনপত্র দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সব আবেদনপত্রের বিষয়টি বিবেচনা করে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনকে পত্র পাঠিয়ে ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দिতে আহ্বান জানিয়েছেন।
ফি মকুব, চিকিৎসা, পুলিশ, পড়াশোনায় সাহায্য, মন্দির নির্মাণ, পারিবারিক বিবাদ সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
মুখ্যমন্ত্রী যোগীর কাছে ফি মওকুফ, চিকিৎসা, পুলিশ, পড়াশোনায় সাহায্য, মন্দির নির্মাণ, পারিবারিক বিবাদ সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। মধ্যপ্রদেশের সিধির রাজগড় কোঠারের প্রীতু সাহু গুরুতর অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছেন। বিহারের পশ্চিম চাঁপারণের মাধোপুর প্রखণ্ডের প্রিয়ম প্রীতি ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছেন। এছাড়াও ওড়িশা, বিহার থেকে মন্দির সংস্কার, তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা আদি রাজ্য থেকে আসা লোকজনের অভিযোগও মুখ্যমন্ত্রী যোগী শুনেছেন। ছাত্রী নিষ্ঠা সাহানি রাজস্থানে ফি মওকুফের জন্যও আবেদন করেছেন।


