১৪৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশে আয়োজিত মহাকুম্ভ ২০২৫ ধর্মীয় পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ৬৫ লক্ষেরও বেশি পর্যটক পাঁচটি নবনির্মিত আধ্যাত্মিক করিডোর পরিদর্শন করেছেন, যা প্রয়াগরাজকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মস্থানের সাথে সংযুক্ত করেছে।
১৪৪ বছর পর আয়োজিত হল মহা কুম্ভ মেলা। মহাকুম্ভ ২০২৫ উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় পর্যটনের জন্য নতুন রাস্তা দ্বার খুলে গেল। রাজ্য সরকার কর্তৃক স্থানীয় পর্যায়ে নির্মিত মন্দিরের করিডোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রয়াগরাজকে সংযুক্ত করে তৈরি করে পাঁচটি আধ্যাত্মিক স্থান তৈরি হয়েছে। ৬৫ লক্ষেরও বেশি পর্যটক তা পরিদর্শন করেছে।
হিবেশ করে মহাকুম্ভ ছিল ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কর্মসূচির সঙ্গে সংস্কৃতির সঙ্গমস্থল। দেশের বিভিন্ন পর্যটন সেখানে আসেন
বিশেষ স্নানের দিনগুলোতে পর্যটকদের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। ৪৫ দিনের মহাকুম্ভে ৬৫ লক্ষ বেশ পর্যটক উপস্থিত হন।
এবছর পাঁচটি করিডোর তৈরি করা হয়েছে।
প্রয়াগ-বিন্ধ্যাচল-কাশি করিডোর প্রয়াগরাজকে বিন্ধ্যোচল দেবীধাম থেকে এবং তারপর কাশীর সঙ্গে সংযুক্ত করে, প্রয়াগরাজ-অযোধ্যা-গোরখপুর করিডোর প্রয়াগরাজকে অযোধ্যা ও গোরখপুরের সঙ্গে সংযুক্ত করে, প্রয়াগরাজ-লখনউ-নৈমিষারণ্যা করিডোরটি প্রয়াগরাজ-লখনউ-নৈমিষারণ্য করিডোরকে একসঙ্গে সংযুক্ত করে। প্রয়াগরজ-রাজাপুর-চিত্রকূট করিডোর যা প্রয়াগরাজকে চিত্রকূটের সঙ্গে সংযুক্ত করে। প্রয়াগরাজ-মথুরা-বৃন্দাবন-শুকতীর্থ করিডোর মথুরাকে বৃন্দাবনের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
রাজ্য সরকার মহাকুম্ভের সময় মন্দিরগুলোকের সংস্কার করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে।
সঙ্গমের কাছে হনুমান মন্দির, অক্ষয়বতা মন্দির সরস্বতী কূপ করিডোর, দারাগঞ্জে নাগবাসাকি এবং আলোপা শঙ্করী দেবী করিডোর, ভরদ্বাজ আশ্রম, শ্রিংগেরাপুর ধমারে ভক্তদের জন্য বিশেষ আয়োজন ছিল।
সে যাই হল সদ্য অনুষ্ঠিত হল মহাকুম্ভ মেলা। পরবর্তী কুম্ভমেলা আয়োজিত হবে ২০২৭ সালে। মহারাষ্ট্রের নাসিকে হবে এই মেলা। ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে ত্রিমবকেশ্বরে। যা নাসিক থেকে প্রায় ৩৮ কিমি দূরে। এই শহরটি গোদাবরী তীরে অবস্থিত। ২০২৭ সালে ১৭ জুলাই থেকে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত হবে মেলা। তা জানিয়েছ দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ।
এবছর ১৪৪ বছর পর হয় উৎসব। সারা বিশ্ব থেকে লোকজন এসেছিল কুম্ভ মেলায়। প্রধানমন্ত্রীকেও দেখা গিয়েছিল পবিত্র স্নান করতে। তেমনই উপস্থিত ছিল ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। গিয়েছিলেন বহু তারকারা।
