সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মহাকুম্ভ পরিদর্শন করে সাধুদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সনাতন ধর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি সনাতন ভক্ত ইতিমধ্যেই কুম্ভে পবিত্র স্নান সম্পন্ন করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রবিবার মহাকুম্ভ নগর পরিদর্শন করেন। সেখানে সাধু সন্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। সনাতন ধর্মের বিশ্বব্যাপী তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি সনাতন অনুসারে ইতিমধ্যেই তারা মহাকুম্ভে পবিত্র স্নানে অংশ নিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রথমে বিষ্ণুস্বামী সম্প্রদায়ের সতুয়া বাবা পীঠ পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি মহামণ্ডলেশ্বর সন্তোষচার্য মহারাজের (সতুয়া বাবা) সঙ্গে দেখা করেন। তিনি শঙ্করাচার্য শ্রী শঙ্কর বিজয়েন্দ্র সরস্বতীর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। তাঁর সফরকালে, তিনি কাঞ্চী পীঠের প্রাক্তন শঙ্করাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতীকে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন এবং আরতি করেন।
শঙ্করাচার্য শ্রী শঙ্কর বিজয়েন্দ্র সরস্বতী মহাকুম্ভের জন্য জাঁকজমক পূর্ণ আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং পবিত্র অনুষ্ঠানে ৬০ কোটির বেশি সনাতন ভক্তের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, যখনই সনাতন ধর্ম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, কাঞ্চী পীঠ সেগুলো সমাজনের জন্য এগিয়ে আসে, তা সে শ্রী রাম জন্মভূমি আন্দোলন হোক বা নেপাল সংকট।
তিনি বলেন, ৬২ কোটি ভক্ত ইতিমধ্যেই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করেছেন এবং সংখ্যা আরও বাড়বে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, অন্য কোনও ধর্ম এত বিশাল ভক্তিপূর্ণ সমাবেশ দেখে না এবং মহাকুম্ভকে সনাতন ধর্মের মহিলা ও দেবত্বের প্রতীক বলে অভিহিত করেন।
এরই মাঝে নরেন্দ্র মোদীও এই নিয়ে মন্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি মানুষ আস্থার ডুব দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মহাকুম্ভ একতার প্রতীক।’ মহাকুম্ভ দেশের একতাকে আরও মজবুত করবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি শতাব্দীতেই কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা হিন্দু ধর্মকে ঘৃণা করেন। যাঁরা দাসত্বের মানসিকতা থেকে বেরোত পারেননি, তাঁরাই আমাদের ধর্ম, বিশ্বাস, সংস্কৃতিতে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। আমাদের সমাজতে বিভক্ত করার চেষ্টা করেন এবং সেটাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য।’
এবছরের মহা কুম্ভমেলা সারা বিশ্বের নজরে। এই বছর পবিত্র স্নান করতে সারা বিশ্বের মানুষ। এই পরিসংখ্যান গড়ল রেকর্ড।