সংক্ষিপ্ত
মহা কুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে বর্তমানে মহা কুম্ভ ২০২৫ চলছে। প্রয়াগরাজে অনেক প্রাচীন মন্দির এবং ধর্মস্থান রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দর্শন পূজা করতে যান। অক্ষয়বটও তাদের মধ্যে একটি।
প্রয়াগরাজ অক্ষয়বট: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহা কুম্ভ ১৩ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে, যা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রয়াগরাজে অনেক প্রাচীন ধর্মস্থান রয়েছে, যা এর পরিচয় হয়ে উঠেছে। অক্ষয়বটও তাদের মধ্যে একটি। মূলত এটি একটি বটগাছ, যাকে বটবৃক্ষও বলা হয়। অক্ষয়বট প্রয়াগরাজের প্রাচীন ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। অক্ষয়বট গঙ্গার তীরে অবস্থিত আকবরের দুর্গে অবস্থিত। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এটি দেখতে এবং পূজা করতে আসেন। জেনে নিন কেন এত বিশেষ এই অক্ষয়বট…
এখান থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করতেন মানুষ
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, যার মৃত্যু গঙ্গায় ডুবে হয়, সে মোক্ষ লাভ করে। এই বিশ্বাসের কারণে মুঘল আমলে অনেক মানুষ অক্ষয়বটে উঠে সেখান থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিতেন। ফারসি পণ্ডিত আহমেদ আল-বিরুনি যখন ১০১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতে এসেছিলেন। তিনি তার 'তারিখ-ই-হিন্দ' বইতে লিখেছেন যে, সংগম তীরে অবস্থিত অক্ষয়বটে উঠে অনেক মানুষ গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতেন।
জাহাঙ্গীর কেটে ফেলেছিলেন এই গাছ
হাকিম শামস উল্লাহ কাদরীর বই 'তারিখ-ই-হিন্দ'-এ লেখা আছে যে, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর অক্ষয়বট কেটে ফেলেছিলেন এবং এটিকে লোহার তাওয়ाले ঢেকে দিয়েছিলেন যাতে এই গাছ আবার বড় না হয়। কিন্তু কিছু সময় পর অক্ষয়বটের কুঁড়ি আবারও গজাতে শুরু করে। এটা দেখে জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, ‘হিন্দুত্ব কখনো মরবে না, এই গাছই তার প্রমাণ।’
কি এর সাথে জড়িত বিশ্বাস?
বিশ্বাস করা হয় যে, জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভদেব এই গাছের নিচেই জ্ঞান লাভ করেছিলেন। অক্ষয়বটের বর্ণনা পুরাণেও পাওয়া যায়। বলা হয় যে, এই গাছকে সীতা মাতা আশীর্বাদ করেছিলেন যে, প্রলয়কালে যখন এই পৃথিবী জলমগ্ন হয়ে যাবে তখনও এই অক্ষয়বট সবুজ থাকবে। এই গাছের গুরুত্ব এই কথাতেই বোঝা যায় যে, পদ্ম পুরাণে অক্ষয়বটকে তীর্থরাজ প্রয়াগের ছত্র বলা হয়েছে।
Disclaimer
এই প্রবন্ধে যে তথ্য রয়েছে, তা জ্যোতিষীদের দ্বারা বলা হয়েছে। আমরা কেবল এই তথ্য আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে কেবল তথ্য হিসাবে বিবেচনা করুন।