প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলার পর সঙ্গম তীরে কৃষকেরা তরমুজ, শসার চাষ করছেন। গঙ্গা-যমুনার জলে ভালো ফলনের আশায় যুবকদের কর্মসংস্থান হবে।
প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের আয়োজনের পর সঙ্গমের বালিতে নতুন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যেখানে কোটি কোটি ভক্ত পূণ্যস্নান করেছেন, সেখানে এখন এখানকার কৃষকেরা তরমুজ, শসার মত ফসল ফলিয়ে ভাগ্য বদলাতে প্রস্তুত। বেলে মাটি এবং গঙ্গা-যমুনার জলে এই অঞ্চলে ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ বিষয় হল, এই চাষ থেকে হাজার হাজার স্থানীয় যুবকের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগও তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নির্দেশে এই বার রেকর্ড পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। যার ফলে সেচের কোনো সমস্যা হবে না। বিজ্ঞানীদের মতে, বেলে মাটি এই ফসলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। মহাকুম্ভে অর্থনীতির জোর পাওয়ার পর এখন নতুন ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দরজা খুলে গিয়েছে। বীজ বোনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রয়াগরাজের বিজ্ঞানীরা এই কৃষকদের বেশি উৎপাদনের কৌশলও শেখাচ্ছেন।
গঙ্গা-যমুনার আশীর্বাদ :
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতে এখন এই পবিত্র মাটি সোনা ফলাবে। মহাকুম্ভের পর প্রয়াগরাজের সঙ্গম তীরে স্থানীয় কৃষকেরা চাষ শুরু করে দিয়েছেন। গঙ্গা পার, যমুনা পার অঞ্চলে কৃষকেরা তরমুজ, শসার বীজ বোনা শুরু করে দিয়েছেন। প্রয়াগরাজের বিজ্ঞানীদের মতে, এখানকার বেলে মাটি এই ধরনের ফসলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে এই বার গঙ্গা, যমুনাতে রেকর্ড পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। যার ফলে কৃষকদের সেচের কোনো সমস্যা হবে না।
হাজার হাজার যুবকের রোজগার হবে, লক্ষাধিক টাকা রোজগারের সুযোগ পেয়ে ফসলের চাষ থেকে শুধু কৃষকদের লাভ হবে না, বরং হাজার হাজার স্থানীয় যুবকেরও আয় হবে। এই ফসল থেকে কৃষকেরা এক মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারেন। চাষের পাশাপাশি প্যাকেজিং, ট্রান্সপোর্ট এবং মার্কেটিং-এরও নতুন সুযোগ খুলছে। যার ফলে অঞ্চলের অর্থনীতি আরও জোর পাবে।
মহাকুম্ভের পর কৃষি ক্ষেত্রে নতুন দরজা, সঙ্গমের বালি থেকে সমৃদ্ধির নতুন গল্প তৈরি হবে মহাকুম্ভ প্রয়াগরাজ নয়, প্রদেশের অর্থনীতিকেও নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এখন এই ভূমি থেকে কৃষির একটি নতুন গল্প লেখা হচ্ছে। সঙ্গম তীরে হাজার হাজার কৃষক আশার ফসল বুনেছেন। যা আগামী মাসগুলোতে তাদের ঝুলি খুশিতে ভরিয়ে দেবে।
