মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিহারে ১০ দিনে ৩১টি র‍্যালি ও রোড শো করে ৪৩ জন এনডিএ প্রার্থীর জন্য প্রচার করেছেন। সুশাসন, অপরাধের প্রতি জিরো টলারেন্স এবং 'বুলডোজার বাবা'র ভাবমূর্তি দিয়ে তিনি নির্বাচনী পরিবেশে নতুন শক্তি সঞ্চার করেছেন।

বিহার নির্বাচন ২০২৫: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রবিবার নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। প্রচারের শেষ দিনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিহারের আরারিয়াতে একটি জনসভায় ভাষণ দেন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময়, যোগী মাত্র ১০ দিনে ৩১টি জনসভা করেছেন, যার মধ্যে ৩০টি র‍্যালি এবং একটি রোড শো অন্তর্ভুক্ত। তিনি মোট ৪৩ জন এনডিএ প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার চালান।

এনডিএ প্রার্থীদের জন্য প্রচার

যোগী আদিত্যনাথ বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি (রা), হাম এবং রাষ্ট্রীয় লোকমোর্চার প্রার্থীদের পক্ষে জনগণকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি জনগণকে এনডিএ জোটকে শক্তিশালী করতে এবং সুশাসনের জন্য ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

১৬ অক্টোবর থেকে প্রচার অভিযান শুরু

সিএম যোগী ১৬ অক্টোবর থেকে বিহারে তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তিনি অনেক জেলা সফর করে র‍্যালি করেন এবং এনডিএ-র পক্ষে পরিবেশ তৈরি করেন।

সবচেয়ে সক্রিয় ও জনপ্রিয় তারকা প্রচারক

মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় এবং চাহিদাসম্পন্ন তারকা প্রচারক হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের নাম উঠে এসেছে। তিনি বিহারের মানুষের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। ছাদ, দেয়াল, গাছ এবং বুলডোজারের উপর দাঁড়িয়ে মানুষ তাঁকে স্বাগত জানায়।

সুশাসন ও অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স

যোগী আদিত্যনাথ তাঁর ভাষণে উত্তরপ্রদেশের মতো বিহারেও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি কংগ্রেস-আরজেডি জোটকে নিশানা করে বলেন যে এনডিএ সরকার অপরাধ, দুর্নীতি এবং জঙ্গলরাজ শেষ করার কাজ করেছে।

'বুলডোজার বাবা'র জনপ্রিয়তার প্রভাব

উত্তরপ্রদেশে অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারণে যোগী আদিত্যনাথের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়ছে। বিহারেও তাঁর 'বুলডোজার' ভাবমূর্তি জনগণের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।