মানুষকে কামড়ালে পথকুকুরদের যাবজ্জীবন! এই রাজ্যের কড়া পদক্ষেপে খুশি জনতা
উত্তরপ্রদেশে মানুষকে কামড়ালে পথকুকুরদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার এক কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে।

পথ কুকুরের উপদ্রব
ভারতজুড়ে পথকুকুরের উপদ্রব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে পথকুকুরের সমস্যা নেই। শিশু ও মহিলাদের তাড়া করে কামড়াচ্ছে কুকুর। চেন্নাইয়ের মতো বড় শহরে কর্মরতরা শান্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
উত্তরপ্রদেশে কুকুরের দৌরাত্ম্য
ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও একই অবস্থা। সেখানে প্রায়ই শিশুদের পথকুকুর কামড়ানোর ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে, উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে যে মানুষকে কামড়ালে পথকুকুরদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। অর্থাৎ, কোনো পথকুকুর প্রথমবার কাউকে কামড়ালে, সেটিকে নির্বীজকরণ করে নজরদারিতে রাখা হবে।
পথকুকুরদের যাবজ্জীবন
এরপর কুকুরটির শরীরে মাইক্রোচিপ বসিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হবে। যদি সেই কুকুর কোনো উস্কানি ছাড়াই দ্বিতীয়বার কোনো মানুষকে কামড়ায়, তবে তাকে ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে। সারাজীবন সেই কুকুরটি আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকবে, বাইরে ছাড়া হবে না।
পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হবে
তবে, কেউ পাথর ছুঁড়ে মারার পর যদি কুকুর কামড়ায়, তবে তা পথকুকুরের কামড় হিসেবে গণ্য হবে না। এই সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করেছেন মুখ্য সচিব অমৃত অভিজাত। সরকারের এই পদক্ষেপে রাজ্যের মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আক্রমণাত্মক কুকুরদের পর্যবেক্ষণের জন্য একটি দল গঠন করা হবে, যেখানে একজন পশুচিকিৎসক, একজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ, কুকুরদের আচরণ বোঝেন এমন একজন ব্যক্তি এবং পৌরসভার একজন সদস্য থাকবেন।
বাংলাতেও কি এমন কোনো পরিকল্পনা আসবে?
এই দল মানুষকে কামড়ানো কুকুর চিহ্নিত করে তাদের র্যাবিসের টিকা দেওয়া এবং নির্বীজকরণের কাজ করবে। কুকুরটি কোনো উস্কানি ছাড়াই কামড়েছে, নাকি মানুষের দ্বারা বিরক্ত হয়ে কামড়েছে, তাও তারা খতিয়ে দেখবে। আশা করা হচ্ছে, এতে কুকুরের কামড়ের ঘটনা কমবে। উত্তরপ্রদেশের মতো তামিলনাড়ুতেও পথকুকুর নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

