মুখ্যমন্ত্রী যোগী বারসানাতে রঙোৎসব ২০২৫-এর সূচনা করেছেন এবং ব্রজভূমির উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন কাশী ও অযোধ্যার পর এবার মথুরার উন্নয়ন হবে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর এক দিনের সফরে মথুরার বারসানাতে 'রঙ্গোৎসব ২০২৫'-এর সূচনা করেছেন। এই উপলক্ষে তিনি বলেন কাশী ও অযোধ্যার উন্নয়নের পর এবার মথুরা ও ব্রজভূমির উন্নয়নের সময় এসেছে। বারসানাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী লাডলী জী মহারাজ মন্দিরে দর্শন ও পূজা করেন এবং ফুল ও লাড্ডু মার হোলির মাধ্যমে রঙোৎসবের সূচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ৫ হাজার বছর ধরে ভারতের সনাতন সংস্কৃতিকে শক্তি দেওয়া এই ব্রজভূমি শ্রদ্ধা ও আস্থার ভূমি। এর কণা-কণাতে শ্রী রাধা ও শ্রী কৃষ্ণের দর্শন পাওয়া যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশের সৌভাগ্য যে এখানে কাশী, অযোধ্যা ও মথুরা, এই তিনটি তীর্থস্থান সনাতন একতার প্রতীক রূপে বিদ্যমান। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ঐতিহ্য ও উন্নয়নের এক নতুন পরম্পরা স্থাপিত হয়েছে, যার ফলস্বরূপ সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলার জমকালো আয়োজন দেখা গেছে। তিনি বলেন, যে যত সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলত, গুজব ছড়াত এবং যুক্তিহীন কথা বলত, তাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কুম্ভমেলার মাধ্যমে যোগ্য জবাব দিয়েছে। কুম্ভমেলা সনাতন ধর্মের বিরলতম মুহূর্ত হয়ে উঠেছে।
*হোলি একতা ও সম্প্রীতির উৎসব*
সিএম যোগী হোলিকে একতার সূত্র উল্লেখ করে বলেন যে, হোলি পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দূরত্ব কমানোর উৎসব। কুম্ভমেলা যেখানে বিশ্বকে একতার বার্তা দিয়েছে, সেখানে হোলি একে আরও মজবুত করে। তিনি বারসানার বিশ্ব বিখ্যাত লাঠমার হোলি ও লাড্ডুমার হোলির উল্লেখ করে সনাতন ধর্মের অসাধারণ পরম্পরার প্রশংসা করেন।
*শ্রীরাধারাণীর শ্রীচরণে ব্রজভূমির উন্নয়নের নিবেদন*
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে ব্রজভূমির উন্নয়নের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কয়েক কোটি টাকার প্রকল্পের সাথে বারসানাকে উন্নয়নের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রথমবার বারসানাতে রোপওয়ের সুবিধা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, কুম্ভমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর এখন ফুরসত পাওয়া গেছে। কাশী, অযোধ্যা, প্রয়াগরাজ, মা বিন্ধ্যবাসিনী ধামের উন্নয়নের পর এবার এই পুণ্যভূমির পালা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে মথুরা, বারসানা, ব্রজভূমির উন্নয়নের জন্য কোনও সীমা নেই। তিনি বলেন, তিনি হোলির উপলক্ষে শ্রী রাধারাণী জীর শ্রীচরণে এই নিবেদন নিয়েই এসেছেন। তিনি দিল্লীতে রামভক্তদের সরকার আসার কথা উল্লেখ করে যমুনা নদীর সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যমুনা মইয়াও গঙ্গা মায়ের মতো নির্মল ও অবিরল হবে।
*বারসানা ব্রহ্মা, নন্দগাঁও শিব ও গোবর্ধন বিষ্ণু জীর প্রতীক*
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সাধুদের সম্মান জানান এবং দেশ-বিদেশ থেকে আসা লোকেদের হোলি ও রঙোৎসবের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বারসানা ব্রহ্মা, নন্দগাঁও শিব ও গোবর্ধন বিষ্ণু জীর প্রতীক। এই ব্রজভূমি প্রতিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীর জন্য আশীর্বাদের কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডবল ইঞ্জিনের সরকার সুরক্ষা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির গ্যারান্টি। হোলির এই পবিত্র উপলক্ষে ব্রজভূমির উন্নয়নে নতুন গতি আসবে। সিএম এর আগে শ্রী লাডলী জী মহারাজের মন্দিরে দর্শন ও পূজা করে প্রদেশের কল্যাণের কামনা করেন।


