অযোধ্যায় দীপোৎসব ২০২৫-এর প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বাবধানে ৫৬টি ঘাটে লক্ষ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে। ত্রিশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং ঘাটগুলোর সাজসজ্জার কাজ চলছে।

অযোধ্যা।মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে ডঃ রামমনোহর লোহিয়া অবধ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা আয়োজিত দীপোৎসব ২০২৫-এর প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। ভগবান শ্রীরামের জন্মভূমি অযোধ্যাকে আলোকিত করার এই বিশ্ববিখ্যাত অনুষ্ঠানের জন্য ঘাটগুলোতে মার্কিং এবং সাজসজ্জার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।

উপাচার্যের নির্দেশে ঘাটগুলোর সাফাই ও সাজসজ্জার কাজ চলছে

উপাচার্য কর্নেল ডঃ বিজেন্দ্র সিং-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের-এর দল ঘাটগুলোকে আকর্ষণীয় ও সংগঠিত রূপ দিতে ব্যস্ত। দীপোৎসবের নোডাল অফিসার অধ্যাপক সন্ত শরণ মিশ্র জানিয়েছেন যে ঘাটগুলোর সম্পূর্ণ সাফাইয়ের পর মার্কিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রদীপ সাজানোর জন্য প্রতিটি ব্লকে ৪.৫ বর্গফুট জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, আর ভক্তদের যাতায়াতের জন্য আড়াই ফুট চওড়া পথ ছাড়া হয়েছে।

৫৬টি ঘাটে লক্ষ লক্ষ প্রদীপর অলৌকিক ছটা দেখা যাবে

এই বছর দীপোৎসবের জন্য মোট ৫৬টি ঘাট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ প্রদীপের আলোয় পুরো অযোধ্যা ঝলমল করবে। মার্কিং কমিটির আহ্বায়ক ডঃ রঞ্জন সিং (বিভাগীয় প্রধান, মাইক্রোবায়োলজি) এবং তার দল এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লক্ষ্য, প্রতিটি ঘাটে প্রদীপেের এমন অলৌকিক ছটা ছড়িয়ে দেওয়া, যা অযোধ্যার পরিচয়কে আরও উজ্জ্বল করবে।

ত্রিশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দীপোৎসবের দায়িত্ব সামলাবেন

দীপোৎসব ২০২৫ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ত্রিশ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের ঘাটগুলোতে মোতায়েন করা হবে, যারা প্রদীপ জ্বালানো, সুরক্ষা বজায় রাখা এবং দর্শনার্থীদের সহায়তা করার কাজ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে প্রদীপ সরবরাহের প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে, যাতে সময়মতো সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা যায়।

বিশ্ব দরবারে আলোর শহর হয়ে উঠবে অযোধ্যা

এই দীপোৎসব শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং অযোধ্যার গৌরববাহী ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতার সুউচ্চ স্থান বিশ্ব মঞ্চে স্থাপন করবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অযোধ্যা আরও একবার "রামের শহর – আলোর শহর" হিসেবে বিশ্ব দরবারে নিজের পরিচয় স্থাপন করবে। দীপোৎসবের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য ভারতের सांस्कृतिक ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিক চেতনাকে সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া।