সংক্ষিপ্ত

২০২১-র আর্থিক বছরে অ্যাপেলের ব্যবসায় অভাবনীয় সাফল্য। ২৯ অক্টোবর অ্যাপেল সংস্থার মালিক টম কুক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে প্রায় দ্বিগুণ ব্যবসা করেছে অ্যাপেল।

ভারতে অ্যাপেলের(Apple) জনপ্রিয়তা ক্রমশই বাড়ছে। আর তারই প্রতিচ্ছবি ২০২১-র আর্থিক বছরে(Fiscal Year) অ্যাপেলের ব্যবসায় অভাবনীয় সাফল্য। ২৯ অক্টোবর অ্যাপেল সংস্থার মালিক টম কুক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে প্রায় দ্বিগুণ ব্যবসা করেছে অ্যাপেল। তিনি আরও বলেন, ২০২১ –র আর্থিক বছরে উদীয়মান ব্যবসা (emerging markets) থেকে প্রায় এক তৃতীয়াংশ রাজস্ব (revenue) অর্জন করেছে। যদিও ভারতে অ্যাপেলের চাহিদা ক্রমবর্ধমান তবে কোভিড পরিস্থিতির জন্য সরাবরাহে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা জারি থাকায় আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। অ্যাপেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চতুর্থ ত্রৈমাসিক প্রায় ৮৩.৪ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রার অঙ্কে ৬,২৩,৮০০ কোটি লাভ করেছে। অ্যাপেল সংস্থার কর্ণধার টম কুকের(Tom Cook, CEO Of Apple) মতে, ভারতে যেভাবে অ্যাপেলের চাহিদা বাড়ছে তাতে ভবিষ্যতে এই ব্যবসাকে কিভাবে আরও  উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাই এখন প্রধান লক্ষ্য। 

আরও পড়ুন- IRCTC Diwali Bumper Offer-৫০ টাকায় ৫০ লাখের দুর্ঘটনা বিমা, ‘দিওয়ালি ধামাকা’ স্কিম IRCTC-র


ভারতে অ্যাপেলের(Apple) ব্যবসা কিভাবে এত সাফল্য পেল তার পিছনের কাহিনি কিন্তু সকলের সামনে মোটেই প্রকাশ্যে আনেননি অ্যাপেল কোম্পানির সিইও, টম কুক (Tom Cook, CEO Of Apple) । তবে একটা বিষয়ে ফোকাস করে তিনি বলেছেন, প্রতিটি ভৌগলিক বিভাগে (geographical segment) লাভের অঙ্ক দ্বিগুণ করে বেড়েছে( grew double digits )। সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে (September quarter) উন্নত ও উদীয়মান বাজরে (developed and emerging markets) রেকর্ড ব্যবসা করেছে অ্যাপেল। অ্যাপেল কোম্পানির সাফল্য নিয়ে এটাই টম কুকের প্রথম বিবৃতি নয়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও ২০২০-র সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে অ্যাপেল ব্যবসা দ্বিগুণ হওয়ার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গত অক্টোবর মাসেও ভারতীয় মার্কের্টে ত্রৈমাসিক লাভের রেকর্ডের কথা সামনে এনেছিলেন টম কুক।  

আরও পড়ুন-CITI Bank Will No Longer In Ind- আর্থিক ক্ষতির মুখে সিটি ব্যাঙ্ক, কোটাক, অ্যক্সিক ব্যাঙ্কের পকেটে CITI Bank


চলতি বছরের উৎসবের মরশুমের ঠিক আগেই ভারতীয় বাজারে(Indian Market) লঞ্চ হয়েছে i-Phone13 সিরিজ যা iPhone 12 মডেলের জায়গা নিয়েছে। আর তার ফলে পুরনো মডেলগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। তবে কিছু মার্কেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধুমাত্র উন্নতমানের আপটেডই ভারতে অ্যাপেলের এই আকাশছোঁয়া সাফল্যের প্রাথমিক কারন নয়। TechArc কোম্পানির আবিষ্কৃতা ও প্রধান বিশেষজ্ঞ ফয়সল কাউসার  (Faisal Kawoosa) মতে, যে কোনও ধরনের বিলাসবহুল সেগমেন্টের অন্তর্গত প্রোডাক্টসের সাফল্য আসবেই। আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি উদাহরণ স্বরূপ বলেন, ভারতে স্মার্টফোনের বাজারেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে। ৫০ হাজার বা তার বেশি দামের স্মার্টফোনের চাহিদা একবছরে দ্বিগুণ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সাফল্যের নিরিখে বেড়ে যায় লাভের অঙ্কটাও। অ্যাপেলের সাফল্য প্রসঙ্গে বলেন, গত বছরে ভারতে iPhone-র বিক্রি ৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছিল আর চলতি বছরে তা ৪ মিলিয়ন অতিক্রম করার কথা। প্রথমসারির এক ইংরাজি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে CMR-র প্রধান প্রভু রাম (Prabhu Ram) বলেন, ভারতের মার্কেটে আগামি দিনেও অ্যাপেলের ব্যবসা অতুলনীয় সাফল্য লাভ করবে। i-Phone 11 র থেকেও iPhone 12,-র ব্যবসা গত ত্রৈমাসিক সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।CMR-র রিপোর্ট অনুযায়ী, একবছরে iPhone শিপমেন্টের গ্রোথ ২৮ শতাংশ। এই সংস্থার তরফে অনুমান করা হচ্ছে, মার্কেট শেয়ারও বাড়বে ৩.৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে iPhone সরবরাহ পৌঁছবে ৫ মিলিয়নে যা নিঃসন্দেহে ভারতীয় মার্কেটে একটি নতুন মাইলস্টোন গড়বে iPhone কোম্পানি।

আরও পড়ুন- Diwali Home Lone Offer- স্বপ্নের বাড়ি গড়তে চান, হোমলোনের সুদে মিলছে আকর্ষণীয় ছাড়

 

YouTube video player