সংক্ষিপ্ত
মাত্র এক দশক আগেও ভারতের ৬০ মিলিয়ন মানুষ কিন্তু বর্তমানে ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ভারতকে বড় সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা IMFএর।
ভারতকে বড় সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা IMFএর। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বর্তমান ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির কাছে রোল মডেল হতে পারে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটা ভারতের স্বর্ণযুগ। মাত্র এক দশক আগেও ভারতের ৬০ মিলিয়ন মানুষ কিন্তু বর্তমানে ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সঠিক সংখ্যাটা হল ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা- সর্বক্ষেত্রেই ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। এই সংখ্যা এতদ্রুত বেড়েছে যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকই বেশি।
আর্থিক লেনদেন-
প্রত্যেকমাসে মিলিয়ন ইউপিআই লেনদেন করে ৮ বিলিয়ন মানুষ। ২০২২ সালে গোটা বিশ্বে রিয়েলট টাইম পেমেন্ট ট্রান্সফার হয়েছিল ১৯৫০০ কোটি টাকা। যারমধ্যে শুধুমাত্র ভারতে রিয়েসটাইম পেমেন্ট ট্রান্সপার হয়েছিল ৮৯৫০ কোটি টাকা। যার অর্থ মোট লেনদেনের ৪৮ শতাংশ ভারতে হয়েছিল।
UPIকে জনপ্রিয় করতে মোদী সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছিল। নরেন্দ্র মোদী প্রথম এই লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন।প্রধানমন্ত্রী নিজি ধন মেলা চালু করেছিলেন। এর অধীনে ১০০ দিনে ১০০ জেলায় ১০০টি মেলা হয়েছিল। মোদী তাঁর মন্ত্রীদের এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাঁর মন্ত্রীরা কিছুটা দ্বিধান্বিত হয়েছিলেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী তাঁর লক্ষ্য়ে অবিচল ছিলেন। এর জন্য গ্রামীণ এলাকায় কাজ করা হয়েছিল। মেট্রো সিটি থেকে ছোট গ্রামগুলিতেও UPI ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দোকানদার ও সাধারণ মানুষকেও UPI সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
স্বাস্থ্য পরিষেবা
স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ। কোভিডের সময় দেশের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল ডিজিটাল পরিষেবা। কোভিড প্ল্যাটফর্মে ডিজিটালাইজেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিড -১৯ ভ্যাক্সিনেশন পুরোটাই হয়েছে ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে। যা দেশের সব মানুষকে দ্রুত টিকা দিতে সাহায্য করেছিল। স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে ডিজিটালাইজেশন পরিষেবাকে আরও উন্নত করেছে। দেশের অনেক মানুষই ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করতে অভ্যস্ত।
আইএমএফ বলেছে, বর্তমান ভারত প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের পাবলিক পরিকাঠামোও বর্তমানে ডিজিটাল নির্ভর হচ্ছে।যা দেশের মানুষকে দ্রুত আর উন্নত পরিষেবা দিতে সাহায্য করছে। দেশের আর্থিক উন্নয়নেওই এটি সাহয্য করছে। বর্তমানে ভারত ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার মত অবস্থায় রয়েছে। ভারতের অর্থনীতি ডিজিটাল নির্ভর হয়েছে। যা দেশের উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত করছে। বর্তমান বিশ্বে ডিজিটালাইজেশনের জন্য ভারতকে অনুসরণ করে বলেও জানিয়েছে আইএমএফ। ডি জিটাল দৌড়ে ভারতের পিছিয়ে পড়ার কোনও চিহ্ন নেই বলেও জানিয়েছে আইএমএফ।