সংক্ষিপ্ত

বিরাট প্রাপ্তি Koo-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অপ্রমেয়া রাধাকৃষ্ণ- এর। সাংবাদিকতা সংস্থা রেস্ট অফ ওয়ার্ল্ড (RoW) দ্বারা সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০ জন প্রভাবশালী প্রযুক্তি নেতাদের মধ্যে স্বীকৃত হয়েছেন তিনি। 

স্থানীয় ভাষায় নিজের মতামত প্রকাশের ক্ষমতায়ন বাস্তব-বিশ্বের সমস্যা সমাধানের একটি উদ্ভাবনী এবং অভাবনীয় সমাধান হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে, যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং এই কাজটি করে দেখিয়েছে দেশীয় সংস্থা 'কু'। এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছিল ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়ন করার জন্য - আমাদের দেশ এমন একটি দেশ যেখানে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ ইংরেজিতে কথা বলে - তারা যাতে স্থানীয় ভাষায় নিজেদের ধারণা ও মতামত প্রকাশ করতে পারেন এবং নিজেদের স্থানীয় সম্প্রদায়কে আবিষ্কার করে তাদের সাথে যোগাযোগ সহজ করতে পারে সেই সুবিধার্থেই তৈরি হয় কু অ্যাপ

১৩ মে, শুক্রবার কু-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, অপ্রমেয়া রাধাকৃষ্ণকে রেস্ট অফ ওয়ার্ল্ড দ্বারা বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের মধ্যে একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, যারা একাধিক চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করার সাথে সাথে তাদের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য অনন্য প্রোডাক্ট তৈরি করে দেখিয়েছেন।

আরও পড়ুন- 'সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উষ্কানি দিচ্ছেন কঙ্গনা', বাতিল হলেন টুইটর থেকে, এরপরই নিজের ঘর কু-তে হাজির কুইন

আরও পড়ুন- 'দেশীয় স্ট্র্যাটেজিতে মিলবে সাফল্য' টুইটারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আত্মবিশ্বাসী কু

আরও পড়ুন- দ্রুত বাড়ছে 'কু' -এর জনপ্রিয়তা, এবার যোগ দিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগও

এই সাফল্যের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে কু-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অপ্রমেয়া রাধাকৃষ্ণ বলেন, 'এটি আমাদের কাছে বিরাট একটি পাওনা। গ্লোবাল টেক'স চেঞ্জমেকারদের মধ্যে স্বীকৃত হতে পেরে আমি সৌভাগ্যবান বলে অনুভব করছি, যেখানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ উদ্যোক্তা এবং স্বপ্নদর্শীরা রয়েছে, যারা  যুগান্তকারী সমাধানের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছেন সেখানে রেস্ট অফ ওয়ার্ল্ডের মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থার দ্বারা স্বীকৃত হওয়া সত্যিই আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয়।'

তিনি আরও বলেন, 'স্থানীয় ভাষায় আত্ম-প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা আমাদের দেশের কাছে জন্য আলাদা কিছু নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যেহেতু বিশ্বের ৮০% মানুষ ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষাতেও কথা বলে, তাই আমাদের সমাধান বিশ্বব্যাপী নির্ভরযোগ্য এবং সারা বিশ্বের বাজারের সাথে প্রাসঙ্গিক ও। আমরা উন্মুক্ত ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাষার বিভাজন দূর করার দিকে মনোনিবেশ করেছি, পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষার সংস্কৃতিকে ভিন্ন ভাষী মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পেরেছি এবং সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশীয় একটি প্রোডাক্টকে, বাকি বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চলেছি।'

উল্লেখ্য, মাইক্রো ব্লগিং, ভিন্নভাষী সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম কু অ্যাপ লঞ্চ হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে, যেখানে ভারতীয়রা নিজেদের মাতৃভাষার মাধ্যমে মত প্রকাশ করতে পারেন। বর্তমানে স্মার্ট ফিচার্সের মাধ্যমে হিন্দি, মারাঠী, গুজরাতি, পঞ্জাবি, কানাডা, তামিল, তেলুগু, অসমীয়া, বাংলা, এবং ইংরাজির মতো ১০টি ভাষায় উপলব্ধ রয়েছে কু অ্যাপ। এই অ্যাপ ভারতবাসীকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদান করতে পেরেছে যেখানে সকলে নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে একে অপরের সঙ্গে যোগযোগ করতে পারে।