সংক্ষিপ্ত
এবার মহাকাশে সঙ্গে সাগরে যান পাঠাবে ইসরো (ISRO)। সাগরের ৬০০০ মিটার গভীরে মানব মিশন পাঠাবেন তারা। সরকার কতৃক জানানো হয়েছে, ‘ডিপ ওশান মিশন’-এর কাজ চলছে।
বেশ কিছুদিন ধরে খবরে রয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। প্রথমত, ভারতের মহাকাশ অভিযানে গবেষণায় ভূয়ষী প্রশংসা করেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, প্রতিবেশী চিনের (China) থেকে কয়েক গুণ উন্নত ভারতের মহাকাশ গবেষণা যান। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির (Technology) ওপর নির্ভর করে উন্নত করা হয়েছে মহকাশযানটি। এদিকে আবার কদিন আগেই গগণ মিশন নিয়ে খবরে এসেছিল ইসরো। জানা যায়, ২০২৩ সালে ‘গগনযান’ লঞ্চ করবে ইসরো (ISRO)। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই পিছিয়ে যাচ্ছে গগনযানের লঞ্চ। এবার শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছিল গগনযন্ত্রের কথা।
এবার ফের খবরে এল ইসরো। জানা গিয়েছে, এবার মহাকাশে সঙ্গে সাগরে যান পাঠাবে ইসরো (ISRO)। সাগরের ৬০০০ মিটার গভীরে মানব মিশন পাঠাবেন তারা। সরকার কতৃক জানানো হয়েছে, ‘ডিপ ওশান মিশন’-এর কাজ চলছে। এর জন্য গভীর মহাসাগর যান পাঠাতে হবে। প্রকল্পের নাম ‘সমুদ্রযান’। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি মন্ত্রি ড. জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন সে কথা। তারা জলের গভীরতা নির্ধারণের জন্য কাজ করছে। এবার এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্রের গভীরে যাবে সমুদ্রযান। বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হবে সাবমেরিন। যা সমুদ্রের গভীরে পাঠানো হবে। ইসরোর গবেষণার (ISRO) মাধ্যমে উঠে আসবে সমুদ্রের নীচের অজানা জগতের ছবি।
আরও পড়ুন: Oppo Find N Launch: অপেক্ষার অবসান, অবশেষে Oppo তার প্রথম ফোল্ডেবল স্মার্টফোন লঞ্চ করছে
জানা গিয়েছে, ইসরো (ISRO) মহাকাশে ও সমুদ্রের তলদেশে একটি যান পাঠাবে। মহাসাগরীয় মিশন ২০২৪ সালে সম্পন্ন হতে পারে। এই মিশনের জন্য ৪,১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ইসরোর এই নতুন গবেষণায় (Research) উঠে আসতে চলেছে অজানা কিছু তথ্য।
অন্যদিকে, মহাকাশে নাসা ও ভারতীয় চন্দ্রযানে অল্পের জন্য এড়ালো দুর্ঘটনা। চাঁদের উত্তর মেরুর কাছে যেই সময় পৌঁছেছে নাসার (NASA) লুনার রিকনেসেন্স অরবিটার, সেই একই সময় সেখানে পৌঁছায় নারা যান। ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ হতে পারত। কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পায়। গত মাসে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ২০ অক্টোবর ভারতীয় সময় সকাল ১১.১৫ নাগাদ নাসা ও ভারতের চন্দ্রযানের মধ্যে দূরত্ব থাকার কথা ছিল তিন কিলোমিটার। যা কমতে কমতে ১০০ মিটারেরও কম হয়ে যায়। ঘটনায় নাসা (NASA) ও ইসরো (ISRO) দুই সংস্থায় চরম অস্থিরতা তৈরি হয়। তবে পরে সব সামলে নেন বিজ্ঞানীরা।