মহুয়া যে স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন সেখানে ক্যপশনে কটাক্ষ করে লিখেছেন, বিজেপির নিত্যদিন ইডি অথবা সিবিআইএর লাভফেস্টে আমার মায়ের উত্তর।
মহুয়া চিঠিতে লিখেছেন, সিবিআই বেআইনিভাবে তাঁর চারটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল। দুটি সরকারি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। তা সত্ত্বেও সেই কৃষ্ণনগর থেকেই তাঁকে এবারও প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'আমরা সিবিআইকে ২০(৩-এ) ধারার অধীনে অভিযোগের সমস্ত দিক নিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিচ্ছি।'
মহুয়া মৈত্রকে সংসদীয় এথিক্স কমিটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে নগদ অর্থের বিনিময় প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছে, এর সম্পর্কে যথাযথ প্রমাণ দেওয়া হয়নি।
সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। সেই কারণে লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে।
৮ ডিসেম্বর, শুক্রবার তাঁর সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর, সোমবার, লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন তৃণমূল নেত্রী।
মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, বিজেপি সংসদের মধ্যে তাঁর কণ্ঠ অবরুদ্ধ করার জন্য তাঁকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এবার তিনি সংসদের বাইরে বলবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কৃষ্ণনগরের জনগণ মহুয়া মৈত্রকে নির্বাচন করেছিলেন সাংসদ হিসেবে। ভোটেযুদ্ধ জয় লাভ করতে না পেরে মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকেই সরিয়ে দিল বিজেপি।
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী গোটা ঘটনাকে ' অতি সক্রিয় ' হিসেবে বর্ণনা করেছে। তিনি আরও বলেছেন, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর দেখানোর জন্যই এজাতীয় পদক্ষেপ করেছে।