সংক্ষিপ্ত
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী গোটা ঘটনাকে ' অতি সক্রিয় ' হিসেবে বর্ণনা করেছে। তিনি আরও বলেছেন, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর দেখানোর জন্যই এজাতীয় পদক্ষেপ করেছে।
মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়াল সিপিআই(এম)। শুক্রবারই মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। বহিষ্কার করা হয়েছে সংসদ থেকে। গোটা ঘটনাকে 'সংসদের কালো দিন' হিসেবেই বর্ণনা করেছে সিপিএম(এম)। এই রাজ্যে একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের মূল প্রতিপক্ষই ছিল বামেরা। এবার সেই বামেরাই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী গোটা ঘটনাকে ' অতি সক্রিয় ' হিসেবে বর্ণনা করেছে। তিনি আরও বলেছেন, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর দেখানোর জন্যই এজাতীয় পদক্ষেপ করেছে। তিনি বলেছেন, 'এই ঘটনা সংসদের জন্য একটি কালো দিন।' সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, মহুয়া মৈত্রের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। মহুয়া মৈত্রকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে এই পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জেরা করার সুযোগও দেওয়া হয়নি।
টাকার বিনিয়ম ঘুষকাণ্ডে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল সংসদের এথিক্স কমিটি। লোকসভা এথিক্স কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেছে লোকসভা। ব্যবসায়ী দর্শন হিরনন্দানির একটি হলফনামা দাবি করেছেন আদানি ইস্যুতে প্রশ্ন করার জন্য মহুয়া মৈত্র তাঁক থেকে মোটা টাকা নিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীকে বিব্রত করাই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্যে। এই বিষয়ে মহুয়ার বন্ধু জয় অনন্ত দৈহাদ্রিও একই কথা বলেছেন।
যাইহোক মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরেও তিনি যে রণ ভঙ্গ দেননি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মহুয়া বলেছেন, এবার মোদী সরকারের সঙ্গে মহাভারতের যুদ্ধ দেখবে দেশের মানুষ। আগেই এথিক্স কমিটির জিজ্ঞাসাবাদকে মহাভারতের দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। যাইহোক আগামী দিনেও মহুয়া তাঁর যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ
BJP vs TMC: গিরিরাজ সিং-এর 'ঠুমকা' মন্তব্যে উত্তাল সংসাদ, আঁচ পড়ছে বিধানসভাতও
তিন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা কাল করতে পারে বিজেপি, জানুন সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীদের নাম
চিনা নিউমোনিয়া নিয়ে প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার