সংক্ষিপ্ত
মহুয়া চিঠিতে লিখেছেন, সিবিআই বেআইনিভাবে তাঁর চারটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল। দুটি সরকারি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
সিবিআই-এর তদন্তের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। রবিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে একটি লম্বা চিঠি দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ সিবিআই -এর হানার কারণে তাঁর নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাধা তৈরি হচ্ছে। এই হানার কারণে তাঁকে জনসক্ষমকে হেনস্থা হতে হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছিন নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই-এর মত কেন্দ্রীয় সংস্থার গতিবিধিরও নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে। শনিবার সিবিআই মহুয়া মৈত্রের তিনটি বাড়ি কলকাতা, করিমপুর ও কৃষ্ণনগরে তল্লাশি চালিয়েছে ক্যাস অন ক্যায়ারি মামলায়। এই মামলার জন্যই মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মহুয়া চিঠিতে লিখেছেন, ' সিবিআই বেআইনিভাবে তাঁর চারটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল। দুটি সরকারি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সিবিআই-এর নিজস্ব সার্চ লিস্ট থেকে স্পষ্ট। কারণ তারা নির্বাচনী কার্যলয় ও আমার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। সুতরাং তাদের কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট তারা আমার নির্বাচনী প্রচারে বাধা তৈরি করতে চাইছে। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাকে বেআইনিভাবে হয়রানি করার লক্ষ্য সিবিআই এই কাজ করছে। ' পাশাপাশি মহুয়া আরও জানিয়েছেন, এতগুলি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি সিবিআই। তিনি আরও বলেছেন, সিবিআই-এর এই হানায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্ষোভ তৈরি করছে। যা তাঁর জন্য সন্দেহ ও অবমাননা তৈরি করছে। তিনি বলেছেন, সিবিআই -এর পদক্ষেপের কারণ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ক্ষতি হতে পারে। সিবিআই-এর পদক্ষেপ অন্যায় বলেও দাবি করেছেন তিনি।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে সিবিআই তদন্ত হবে। কিন্তু সিবিআই তদন্তের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'সিবিআই-এর পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট যে রাজনৈতিক নির্দেশে তারা কাজ করছে।' পরিস্থিতিকে তিনি নজিরবিহীন বলেও দাবি করেছেন। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তদন্তের নামে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করছে। এছাড়া আর কিছুই নয়।