সংক্ষিপ্ত

  • নিজের অবস্থান অনড় ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • মাস্ক না পরেই পরিদর্শন
  • লকডাউন নিয়েও নিজের অবস্থানে অনড়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক আর স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য এন ৯৫ মাস্ক তৈরি করছে অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরের হানিওয়েল নামের একটি সংস্থা। মঙ্গলবার সেই সংস্থারই অফিসে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রসেডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেখানে গিয়েও ট্রাম্প বজায় রাখলেন নিজের জেদ। মাস্ক তৈরির ওই কারখানা ঘোরায় সময় পরলেন না ফেস মাস্ক। কিন্তু সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী এই কারখানায়র সমস্ত কর্মী, আধিকারিক মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি বাইরের কোনও ব্যক্তি যদি কারখানায় আসে তাদেরও ফেস মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু সমস্ত নিয়মনীতিকে রীতিমত বুড়ো আঙুল মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়ালের গোটা কারখানা। 

মার্কিন সরকারের নির্দেশেই ফেস মাস্ক তৈরি করছে হানিওয়েল কোম্পানি। আর তারই তদারকিতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও ব্যক্তি মাস্ক ছাড়াই হানিওয়েল সংস্থার অফিস ও কারখানায় যেতে পারেন। তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে  সংস্থার পক্ষ থেকে। কিন্তু ট্রাম্প যখন হানিওয়েল সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তখনও তিনি ছিলেন মাস্ক ছাড়া। যদিও কর্মী ও আধিকারিকরা প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করেছিলেন। 

আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনা ত্রাসের মধ্যেও চন্দ্র অভিযানের লক্ষ্যে অনড় চিন, সফল উৎক্ষেপন লংমার্চের ...

আরও পড়ুনঃ বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের প্রত্যাবর্তন শুরু ৭ মে, ৩টি জাহাজ আর ৬৪টি বিমানে ফিরবেন লক্ষাধিক যাত্রী ...

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি ইজরায়েলের পরীক্ষাগারে, আগামী দিনে কি খুলে যাবে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ...

মার্কিন ফার্স্ট লেডি নমেলানিয়া ট্রাম্পও মাস্কের ব্যবহার করেন। পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করতে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রচারও করেন। কিন্তু তিনিও এখনও পর্যন্ত তাঁর কর্তাকে মাস্ক পরাতে পারেননি। প্রথম থেকেই মাস্ক পরারে বিরুদ্ধেই দাড়িয়ে ছিলেন ট্রাম্প। তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পম্পেয়। তিনিও হাসপাতাল পরিদর্শন করলেও এড়িয়ে যান মাস্কের ব্যবহার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লক্ষেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের। এই অবস্থাতেও লকডাউন নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন দেশে করোনা সংকট বড় আকার নিয়েছে। বহু মানুষই আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এখনও মার্কিন প্রাশাসন কোনও মানুষকেই গৃহবন্দি অথবা অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখার পক্ষপাতি নয়। লকডাউন চলাকালীন অ্যারিজোনই প্রথম বড় সফর মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে।