সংক্ষিপ্ত
- কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল আমেরিকা
- নির্মম হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন
- আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করলেন তার স্ত্রী কেলি চাওভিন
- নামের সঙ্গে স্বামীর নামের অংশটুকু বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি
শেষমেশ আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হওয়া পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিনের স্ত্রী কেলি চাওভিন আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করলেন। একইসঙ্গে নিজের নামের সঙ্গে
যুক্ত হওয়া স্বামীর নামের অংশটুকু বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। গত ২৯ মে ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় পুলিশ অফিসার চাওভিনকে অভিযুক্ত করা হয়। আর তার একদিন আগেই স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যান স্ত্রী কেলি। বিচ্ছেদের আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, বৈবাহিক সম্পর্কের ভাঙন অনিবার্য এবং কোনোভাবেই তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে নৃশংস অত্যাচার করে পুলিশ। সেদিন ফ্লয়েডের গাড়িতে জালনোট থাকার খবর
পেয়ে তাকে আটক করতে গিয়েছিল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিয়োতে দেখা যায় হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে তার শ্বাসরোধ করে রেখেছে ডেরেক চাওভিন নামের ওই শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই ঘটনার ভিডিয়ো।
নিহত ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। নিশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন ফ্লয়েড। এই হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা। কৃষ্ণাঙ্গহত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ডেরেক শওভিনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই থার্ড ডিগ্রি খুনের ধারায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সময় তাঁকে সাহায্য করার জন্য আরও তিন পুলিশকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই ঘটনার জেরেই ভাঙতে চলেছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের ১০ বছরের দাম্পত্য। আবেদনপত্রে কেলি আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি তার নামের শেষ অংশটুকু বাদ দিতে চান। বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলে নামের শেষ অংশ কী হবে তা উল্লেখ করেননি তিনি। তবে পিটিশনেবলা হয়েছে, বিয়ের আগে কেলি থাও এবং কেলি জিওং নামে পরিচিত ছিলেন তিনি।