সংক্ষিপ্ত
- মানুষের মস্তিষ্ক পাচারের চেষ্টা
- বোতল বন্দি অবস্থায় উদ্ধার মস্তিষ্ক
- শুল্ক দফতর অফিযান চালিয়ে উদ্ধার করে
- একটি মেইল ট্রাকে করে পাচার করা হচ্ছিল
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের ঘটনা আমরা আকছার শুনে থাকি। মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে মার্কিন মুলুকে নিয়মিত চলে মাদক পাচার। মানষ পাচারের ঘটনাও আমাদের কাছে পরিচিত, তাই বলে একেবারে মানুষের মস্তিষ্ক পাচার। অবাক হচ্ছেন, হলেও কিছু করার নেই, কারণ এমন ঘটনাই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্তে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জের, সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠল লক্ষাধিক ঝিনুকের দেহ
সীমান্তে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছিলেন মার্কিন শুল্ক দফতরের কর্মীরা। তারাই কানাডার একটি মেইল ট্রাক থেকে বোতলবন্দি মানুষের মস্তিষ্ক উদ্ধার করেন। মিচিগান ও কানাডার অন্টারিও প্রদেশের সীমান্তে ব্লু ওয়াটার ব্রিজ ক্রসিং এলাকায় এই মস্তিষ্ক প্রথমে নজরে আসে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন।
বোতলটির উপরে লেখা ছিল প্রাচীনকালের শিক্ষার সামগ্রী। টরেন্টো থেকে উইসকনসিলের কেনশাতে পাঠান হচ্ছিল বোতলটি। মেইল ট্রাকটিতে তল্লাশি চালানোর সময় একটি বোতলের ভেতরে মানুষের মস্তিষ্কটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। যদিও এই সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র মার্কিন আধিকারিকদের চোখে পড়েনি বলে সিবিপি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনার সাথে ভারতে এবার সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক, বন্ধ হল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দফতর
এই ধরণের পণ্য আমেরিকায় আমদানির ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। তার পরেও কীভাবে মানুষের মস্তিষ্ক পাচার হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে মার্কিন সীমান্তে মানুষের সংরক্ষিত মস্তিষ্ক উদ্ধার হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়।
এর আগে ২০১৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জীবন্ত ৬৭টি দৈত্যাকৃতি আফ্রিকান শামুক উদ্ধার করা হয়েছিল। নাইজেরিয়া থেকে সেগুলিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আনা হয়েছিল। মার্কিন মুলুকে এই ধরণের পরজিবীর আমদানি একেবারেই নিষিদ্ধ, কারণ এগুলিতে মারণ রোগ বহনের আশঙ্কা থেকে থাকে। সেকারণে দৈক্যাকৃতি শামুকগুলিকে পরবর্তী সময়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
২০০৬ সালে ডায়নোসরের ডিম সহ ৮টন প্রাগৈতিহাসিক জীবাশ্ম বাজেয়াপ্ত করেছিল মার্কিন পুলিশ। আর্জিন্টিনার আরিজোনায় আয়োজিত একটি জীবাশ্ম প্রদর্শনী থেকে এগুলি পাচার করা হয়েছিল বলে পরবর্তী সময়ে জানা যায়।