সংক্ষিপ্ত
- ভারতে এখনও রয়েছে করোনা আতঙ্ক
- এর মাঝেই সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান
- বেঙ্গালুরুর ২ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী আক্রান্ত সোয়াইন ফ্লু-তে
- সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বন্ধ হল সংস্থার দফতর
চিনে করোনা ভাইরাসকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। করোনার আতঙ্ক ভারতেও ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে চিন থেকে আগত তিন ভারতীয় পড়ুয়ার শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। যদিও চিকিৎসার পর তাঁরা সুস্থতার মাঝে। তবে এখনও দেশের নানা প্রান্তে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। এর মধ্যেই এদেশে থাবা বসাল সোয়াইন ফ্লু। সম্প্রতী তথ্যপ্রযুক্তি শহর বেঙ্গালুরুতে জার্মান সফটওয়্যার সংস্থা স্যাপ-এর দুই কর্মীর শরীরে এইচ১এন১ ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তারপরেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ভারতে তাদের সমস্ত দফতর আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নামকরা এই জার্মান সংস্থা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-মোদী রসায়নের মাঝে হাজির কেজরিওয়াল, দিল্লির সরকারি স্কুলে যাচ্ছেন মেলানিয়া
স্যাপের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ২০ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি কর্মীদের অফিসে আসতে বারণ করা হয়েছে। তার বদলে কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। অফিসগুলি সম্পূর্ণ জীবানুমুক্ত করার পরেই ফের খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ভারতে বেঙ্গালুরু ছাড়াও গুরুগ্রাম ও মুম্বইতে স্যাপের দফতর রয়েছে। ভারতে কর্মরত সমস্ত কর্মীদের পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জের, সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠল লক্ষাধিক ঝিনুকের দেহ
সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত দুই কর্মীর সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন সেই বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে জার্মান সংস্থাটি। পরিবারের কারও সর্দি, কাশির সঙ্গে জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। এদিকে চলতি বছরেই হিমাচলপ্রদেশে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও আরও অন্তত ১১জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিমলার বাসিন্দা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হিমাচলপ্রদেশ জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
২০১৩-১৫ সালে এদেশে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল সোয়াইন ফ্লু-এর ভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রাণ কেড়েছিল দুহাজারের বেশি মানুষের। যদিও সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলি খুব সাধারণ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথাস পেশির খিঁচুনির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তবে মারাত্মক আকার ধারণ করলে শরীরে একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশ হয়ি গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।