সংক্ষিপ্ত
বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মোদীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি। তবে ফোনে কথা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু, এই প্রথম মুখোমুখি হতে চলেছেন দুই প্রধান। এর আগে ২০১৯ সালে শেষবার আমেরিকায় গিয়েছিলেন মোদী।
তিনদিনের জন্য আমেরিকা সফরে (America Visit) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। আর এবার বিশ্ববাসীর নজর রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের (Modi Meet Biden) দিকে। সেখানে কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে সেই দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক মহল।
বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মোদীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি। তবে ফোনে কথা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু, এই প্রথমবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মুখোমুখি হতে চলেছেন তিনি। এর আগে ২০১৯ সালে শেষবার আমেরিকায় গিয়েছিলেন মোদী। তারপর থেকে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে আর সেখানে যাওয়া হয়নি তাঁর। আর সেই সময়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাই প্রথমবার মোদী-বাইডেন সাক্ষাতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহল।
এই বৈঠকে একাধিক বিষয় উঠে আসতে পারে বলে অনুমান করছেন কূটনীতিবিদরা। সেই তালিকায় যেমন থাকবে আফগানিস্তানের তালিবান প্রসঙ্গ তেমনই দুই দেশের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রীংলা জানিয়েছেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও জোর দেওয়া এবং শক্তি, প্রযুক্তি ও শিল্পের নানা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তাঁরা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও কীভাবে মজবুত করা যায় সেই বিষয়ও উঠে আসবে তাঁদের আলোচনায়। এর সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ-সহ বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সংস্কার নিয়েও আলোচনা করতে পারেন তাঁরা।
এছাড়াও, দুই দেশের উচ্চ শিক্ষার মতো বিষয়গুলির উপর জোর দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংযোগককে মজবুত করে তোলার মতো বিষয় এই আলোচনায় তুলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই সম্পর্ক মজবুত হতে পারেন উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে। এর ফলে আরও সম্ভাবনা তৈরি হবে।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এই বৈঠকে উঠে আসতে পারে আফগানিস্তান প্রসঙ্গ। আর আফগানিস্তান প্রসঙ্গে উঠলেই সেখানে সন্ত্রাসবাদ, সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মতো বিষয়গুলিও উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন শ্রীংলা।
আরও পড়ুন- কমলা হ্যারিস ‘অনুপ্রেরণার উৎস’, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভারতে আমন্ত্রণ মোদীর
এর আগে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। আর হ্যারিসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই মুগ্ধ তিনি। কমলাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি তাঁকে 'অনুপ্রেরণার উৎস' বলেও আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে হ্যারিসকে ভারতে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে বলেন, "ভারত ও আমেরিকার মূল্যবোধ অনেকটাই একরকম, রাজনৈতিক স্বার্থও এক। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ও সম্পর্কও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি আমেরিকায় যেরকম জয়লাভ করেছেন, ভারতীয়রা চান আপনি আমাদের দেশে গিয়েও সেই ধারা বজায় রাখুন। সকল ভারতীয়ই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, সেই কারণে আমি আপনাকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।"