সংক্ষিপ্ত

উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় (North-West Syria) মার্কিন সেনার (US Army) সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে খতম আইএসআইএস (ISIS) প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শি (Abu Ibrahim al-Hashimi al-Qurayshi)। টুইট করে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। 
 

'রিমুভড ফ্রম দ্য ব্যাটলফিল্ড'। টুইট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বৃহস্পতিবার, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় (North-West Syria) মার্কিন সেনার (US Army) এক বিশেষ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিহত হল আইএসআইএস (ISIS) প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শি (Abu Ibrahim al-Hashimi al-Qurayshi)। আর তারপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইট করে জানালেন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে 'সরিয়ে দেওয়া হয়েছে' আইএসআইএস প্রধানকে।

টুইট করে জো বাইডেন বলেন, গত রাতে তাঁরই নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি সফল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে খতম হয়েছে আইএসআইএস নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শি। সাহসিকতার জন্য তিনি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া প্রত্যেক মার্কিন সৈন্য নিরাপদে ফিরে এসেছেন। পরে, এই অভিযানের বিষয়ে তিনি আরও বিশদে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। 

জানা গিয়েছে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার আতমে শহরে গত ১১ মাস ধরে একটি দ্বিতল বাড়িতে থাকত আইএসআইএস প্রধান। বাড়িওয়ালা থেকে শুরু করে স্থানীয় কেউ তাকে চিনত না। কারোর কোনও সন্দেহ পর্যন্ত হয়নি। তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে একতলায় থাকত সে। দোতলায় তার বোন ও তার সন্তানরা থাকত। প্রতিমাসে নির্বিবাদে সে বাড়ি ভাড়া দিত। অভিযানের আগে পর্যন্ত, মার্কিন বাহিনীও জানত না ওই বাডডিতে আল-কুরায়শি আছে। তাদের ধারণা ছিল আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ এক জিহাদি নেতা থাকে সেখানে।  

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে, মার্কিন প্রশাসনের এক পদস্থ কর্মকর্তাও আল-কুরাইশি'র মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইসলামিক স্টেটের প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদিকে (Abu Bakr al-Baghdadi) হত্যা করেছিল মার্কিন বাহিনী। তারপর, সুন্নি ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীটি বাগদাদির উত্তরসূরি হিসেবে আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরাইশি'কে মনোনীত করেছিল। আল-কুরাইশি ছিল ইরাকের বাসিন্দা। তুর্কি অধ্যুষিত তাল আফার শহরে তার জন্ম। এর আগে একবার মার্কিন বাহিনীর হাতে বন্দীও হয়েছিল সে। কিন্তু, পরে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল। এরপরই ধীরে ধীরে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা হয়ে উঠেছিল। মার্কিন সরকার কুরায়শির তথ্য দেওয়ার জন্য ১ কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা করেছিল। বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ছিল সে।

হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, আল-কুরাইশি'ও শেষ মুহূর্তে তাঁর পূর্বসূরী বাগদাদির মতোই, মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা না দিয়ে, আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিজেকে শেষ করে দেয়। তার সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে তার পরিবারের ৬ শিশু ও ৪ মহিলা-সহ আরও ১৩ জনের। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (The Syrian Observatory for Human Rights) ওয়ার মনিটর-ও মহিলা ও শিশু-সহ ১৩ জন অসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর দাবি করেছে। একটি মার্কিন কপ্টারও ঘটনাস্থলে ভেঙে পড়েছে। তবে এই খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।