সংক্ষিপ্ত
'অ্যামাজন'এর সিইও জেফ বেজোস বিশ্বের অন্যতম ধনি। কিন্তু তাঁকে অনেকেই অপছন্দ করেন। মহাকাশ অভিযানে যাচ্ছেন তিনি। অন্তত ৭৫,০০০-এরও বেশি মানুষ চান তিনি চিরতরেই বিদায় নিন।
জেফ বেজোস, মার্কিন ই-বিপনি সংস্থা 'অ্যামাজন'এর সিইও তথা বিশ্বের ধনিতম ব্যক্তিদের অন্যতম। কিন্তু, এতবড় কেউকেটা হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অনেকেই অপছন্দ করেন। সম্প্রতি তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বেজোস মহাকাশ অভিযানে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আর তারপরই অন্তত ৭৫,০০০-এরও বেশি মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা চান অ্যামাজনের হর্তা-কর্তা-বিধাতা পৃথিবী ছেড়ে চিরতরেই বিদায় নিন।
'ব্লু অরিজিন' নামে একটি মহাকাশ অভিযান সংস্থা শুরু করেছেন জেফ বেজোস। তিনি জানিয়েছেন, 'ব্লু অরিজিন' সংস্থার মহাকাশযানের মাধ্যমে আগামী ২০ জুলাই মহাকাশে অভিযান করবেন তিনি নিজে এবং তাঁর ভাই মার্ক বেজোস। আর তাদের সঙ্গী হবেন তৃতীয় এক রহস্যময় যাত্রী, যিনি এই মহাকাশ ভ্রমণের একটি আসনের টিকিটের জন্য ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছেন।
বেজোসের এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চেঞ্জ ডটকমে দুটি আবেদনপত্র দাখিল হয়েছে। একটিতে বলা হয়েছে, দুটির শিরোনাম আলাদা হলেও, বিষয় মোটামুটি এক - 'জেফ বেজোসকে আর পৃথিবীতে ফেরত আসতে দেবেন না'। আশচর্যের বিষয় হল, আবেদনগুলি শুনতে যতই আজগুবি মনে হোক, সেগুলি কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হাজার হাজার মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। মাত্র ২-৩দিনের মধ্য়েই এই দুই আবেদনপত্রে সাক্ষরকারীর সংখ্যা ৭৫,০০০ ছাপিয়ে গিয়েছে এবং দিন দিন আরও বাড়ছে।
কেন তাঁরা এমনটা চাইছেন? অনেকেই বলেছেন, পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু, ফিরে আসাটা অধিকার নয়, সুবিধা। তাই, এই বিলিয়নিয়ার উদ্যোগপতিকে পৃথিবীতে ফিরে আসতে দেওয়াটা উচিত নয়। মহাকাশ অভিযানের অগ্রগতি যেভাবে ঘটছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতেই মানুষ পৃথিবী ছেড়ে অন্য় গ্রহ-উপগ্রহে পাড়ি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ফের নীল গ্রহে ফিরতে গেলে কী ভিসার মতো কোনও অনুমতিপত্র লাগবে? প্রশ্নটা কিন্তু এই ঘটনা থেকেই উঠে গেল, এমনটাই বলছেন মহাকাশযাত্রার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
জেফ বেজোসের মহাকাশ ভ্রমন অবশ্য মোটেই দীর্ঘ হবে না, মাত্র ১১ মিনিটের। তিনজন যাত্রীকে একটি গম্বুজাকৃতির ক্যাপসুলে আটকে দেওয়া হবে। তারপর, ব্লু অরিজিন সংস্থার তৈরি নতুন শেফার্ড রকেটের মাধ্যমে সেই ক্যাপসুলকে পাঠানো হবে পৃথিবীর আবহমণ্ডল ছাড়িয়ে মহাকাশে। মহাকাশের কাল্পনিক সীমানায় পৌঁছে বুস্টার রকেটটি থেকে ক্যাপসুলটি পৃথক হয়ে যাবে। এরপর এটি ফের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এরপর প্যারাসুটের সাহায্যে তা আবার পৃথিবীর বুকে ফিরে আসবে।