সংক্ষিপ্ত
- গর্ভাবতী মহিলাকে হত্যার অপরাধ
- ৫ দশক পর মৃত্যুদণ্ডের সাজা
- বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যু
- অপরাধীর শৈশব ছিল কষ্টের
এক দুদশক নয়। প্রায় পাঁচ দশক পর মহিলা অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এক আগে আমেকিরায় শেষ মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ১৯৫৩ সালে। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ জেলবন্দু ৫২ বছরের মহিলা লিসা মন্টগোমেরিকে একটি বিষাক্ত ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপরই সেই মহিলা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। স্থানীয় সময় বেলা দেড়টা নাগাদ সংশোধনাগারের চিকিৎসকরা লিসাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
লিসার অপরাধ
সালটা ছিল ২০০৪। সন্তান ধারনে অক্ষম ছিল লিসা মন্টগোমেরি। ককুর কিনতে যাওয়ার নাম করে প্রবেশ করে ২৩ বছরের গর্ভাবতী মহিলা ববি জো স্টিনেটের বাড়ি। তারপর তাঁকে অপরহরণ করে ও শ্বাসরোধ করে লিসা খুন করেছিল বলে অভিযোগ। ববির শরীর থেকে ভ্রূণ বার করে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে ববি শিশুটি বেঁচে ছিল। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের জন্য গত ২০০৭ সালে সালে লিসাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আইন প্রক্রিয়া
স্থানীয় আদালতে বিচার হয়। তাতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় লিসাকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতও তাতে সম্মতি জানায়। অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। কিন্তু ট্রাম্প মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সমর্থক ছিলেন। তাই মন্টগোমেরির সমর্থকদের আবেদনকে উপেক্ষা করেছিলেন তিনি।
মন্টগোমেরির সমর্থকদের সওয়াল
মন্টগোমারির আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন ছোটবেলা থেকে বাবা ও বন্ধুদের অত্যাচার সহস্য করতে হয়েছিল তাকে। একাধিকবার ধর্ষণের শীকার হয়েছিল সে। সেই কারণেই তার আপত্তিকর ও অত্যাচারিত অতীতের কথা বিবেচনা করে তাকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। মানসিক বিকৃতিরও উল্লেখ করা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার সময়ই মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না বলেও দাবি করা হয়েছে। এই মৃত্যুদণ্ড লজ্জার বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।