সংক্ষিপ্ত

 

  • ইরান মুক্তি দিল মার্কিন নৌআধিকারিককে
  • চরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে আটক করে তেহেরান
  • প্রায় ২ বছর ইরানের কারাগারে কাটাতে হয় ওই মার্কিন নাগরিককে
  • এদিকে আমেরিকাও মুক্তি দিয়েছে এক ইরানি বিজ্ঞানীকে

বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৬৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে আমেরিকা ও ইরান। আমেরিকাতো আবার বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে। পৃথিবীজুড়ে মহামারীর আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য চিনকের দোষারোপ করে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর এই আবহে কিছুটা হলেও একে অপরের প্রতি নরম হয়েছে চিরশত্রু দুই দেশ আমেরিকা ও ইরান। জানা যাচ্ছে প্রায় ২ বছর ইরানে আটকে থাকা মার্কিন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা আধিকারিককে মুক্তি দিয়েছে তেহরান প্রশাসন।

মার্কিন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা মাইকেল  হোয়াইট মুক্তি পেয়েছেন। তিনি ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছেন বলে ট্যুইটারে স্বয়ং এই কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও তেহরানের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানান হয়নি। 

 

 

হোয়াইটের মুক্তির কথা জানিয়েছেন তাঁর মা জনি হোয়াইটও। জানা যাচ্ছে ২০১৮ সালের জুলাইতে ৪৮ বছরের ওই মার্কিন নৌআধিকারিক ইরানে যান। মাসাদ শহরে তাঁকে গ্রেফতার করে ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড। তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ এনে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইরান সরকার। 

আরও পড়ুন: বর্ণবিদ্বেষের শিকার জর্জ ফ্লয়েড নাকি আক্রান্ত ছিলেন করোনায়, চাঞ্চল্যকর তথ্য ময়নাতদন্ত রিপোর্টে

এদিকে দিন কয়েক আগেই ৩ বছর আমেরিকার কারাগারে আটকে থাকার পর দেশে ফিরেছেন ইরানের বিজ্ঞানী সিরুর আসগারি। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে আমেরিকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত তথ্য চুরি ও তা ইরানে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ গতকাল (মঙ্গলবার) আমেরিকার কারাগার থেকে সিরুস আসগারির মুক্তি পাওয়ার খবর জানিয়েছিলেন।  

আরও পড়ুন: বাবার বিপরীতে হাঁটছেন ট্রাম্প কন্যা, বর্ণবৈষ্যম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে দাঁড়ালেন আন্দোলনকারীদের

সিরুস আসগারিকে ২০১৭ সালে আমেরিকায় আটক করা হয়। সেই সময় মার্কিন  গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই অভিযোগ করেছিল , ৫ বছর আগে বিজ্ঞানী আসগারি তার ছাত্রদের সাথে আমেরিকাতে করা একটি প্রজেক্টের গোপন তথ্য শেয়ার করেছিলেন। এরপর মার্কিন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইরানে মার্কিন প্রযুক্তি পাচারের বিষয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

দুই দেশই একে অপরের বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে। এই আবহে ট্রাম্প ইরানকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি নতুন করে তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী বলে বার্তা দিয়েছেন।