সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যেখানে একজন চিকিৎসক স্টেথোস্কোপ দিয়ে রাধা-কৃষ্ণের মুর্তির হার্টবিট পরীক্ষা করে দেখছেন। ভক্তরা দাবি করেছিল প্রতিমার প্রাণ রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যেখানে একজন চিকিৎসক স্টেথোস্কোপ দিয়ে রাধা-কৃষ্ণের মুর্তির হার্টবিট পরীক্ষা করে দেখছেন। ভক্তরা দাবি করেছিল প্রতিমার প্রাণ রয়েছে। তারপরই নাকি এক চিকিৎসক স্টেথোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন সত্যি কি প্রতিমার প্রাণ রয়েছে। ডাক্তারের এই কাণ্ডকারখানায় রীতিমত অবাক নেটিজেনরা। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বোকামি করেছেন বলেও অনেক নেটিজেন বলেছেন। যদিও ভিডিওটি সত্যি কিনা তা যাচাই করে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।

এই ঘটনা একটি মন্দিরের। ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন ভক্ত দাবি করেছেন যে তারা এই এলাকায় স্থাপিত মূর্তি থেকে হৃদস্পন্দনের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তারপরই দেবতার হার্টবিট দেখতে ভক্তরা উদগ্রীব হয়ে ওঠে। সেই সময় এক চিকিৎসক স্টেথিস্কোপ নিয়ে এসে দেবতার হার্টবিট পরীক্ষা করেন। তিনি জানিয়েছেন হার্টবিট রয়েছে। যা দেখে উত্তেজিত জনতা উৎসাহী হয়ে পড়ে। দেখুন সেই ভিডিওঃ

Scroll to load tweet…

এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একজন ডাক্তার এসে মূর্তির হার্টবিট মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা করছেন। অন্য এক ব্য়ক্তি এগিয়ে এসে মূর্তির হৃদস্পন্দন শোনার চেষ্টা করছেন। মন্দিরে রয়েছে প্রচুর ভক্ত।

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে নোটিজেনরা তীব্র সমালোচনা করেছেন। অনেকেই ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন। বলেছেন, চিন যখন মানবিক রোবট তৈরির চেষ্টা করছে তখন ভারত মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করছে। পরীক্ষা করছে মূর্তির হৃদস্পন্দন চলছে কিনা ! এই ঘটনাকে নেটিজেনরা সাক্ষরতার অভাব বলে মন্তব্য করেছে। অনেকে বলেছেন দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। তাই কিছু নিয়ে মেতে থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এই এজাতীয় ঘটনা রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।