সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানে এক পুলিশকর্মীর চরস সেবন ও বিক্রির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিরোধী দলের নেত্রী ভিডিওটি শেয়ার করে সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছেন। সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর পুলিশকর্মী পালিয়ে যায়।

ভাইরাল নিউজ, পাকিস্তান পুলিশের চরসকাণ্ড। পাকিস্তানে এমনিতেই নানা সমস্যা লেগেই আছে। এবার যাদের হাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব, তারাই যদি মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে, তাহলে দেশের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। পাকিস্তানের বিরোধী দলের এক নেত্রী এক্স-এ এমন একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) এই ঘটনায় সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছে।

চরস সেবন করতে ক্যামেরায় ধরা পড়ল পাক পুলিশ

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেত্রী @FatimaPTI_IK তার এক্স অ্যাকাউন্টে যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, তাতে একজন পুলিশকর্মীকে একটি অটোতে বসে চরস সেবন করতে দেখা যাচ্ছে। সে একজন ব্যক্তিকে চরস সরবরাহও করছে। এমন সময় একজন সাংবাদিক এবং তার ক্যামেরাম্যান সেখানে পৌঁছে ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দী করে। সাংবাদিক পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসা করে, আপনি চরস সেবন করছেন এবং বিক্রিও করছেন? নীল টুপি দিয়ে মুখ ঢেকে থাকা পুলিশকর্মীটি হঠাৎ দৌড়ে পালিয়ে যায়। সাংবাদিক এবং তার ক্যামেরাম্যান তাকে অনুসরণ করে। পুলিশকর্মীটি রেল লাইন পার হয়ে অন্য দিকে চলে যায়। সাংবাদিক জানায়, সেটি নিষিদ্ধ এলাকা, তাই সে সেখানে যেতে পারছে না। ক্যামেরাম্যান ক্যামেরা জুম করে তাকে ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু কেবল পুলিশকর্মীর পিঠই দেখা যায়। এরপর সাংবাদিক জানায়, পুলিশকর্মীটি অটোতে বসে চরস সেবন করছিল এবং একইসাথে চরস বিক্রিও করছিল। এই ঘটনায় পুরো পাকিস্তানে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

 

 

 

নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

ভিডিওটিতে নেটিজেনদের নানা মন্তব্য দেখা গেছে। একজন লিখেছেন, যদি মুখ্যমন্ত্রী চরস সেবনকারী হন, তাহলে পুলিশও চরস সেবনকারী হবে। দুর্নীতিকে বৈধতা দিলে অন্যান্য অপরাধ কমবে বলে আশা করেন? এই দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকরা জনগণের উপর বোঝা, যারা ২৪ কোটি মানুষকে বন্দী করে রেখেছে।