সংক্ষিপ্ত
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির হতিয়ার
- এক নজরে দশটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু
- সিন্ডিকেট, তোলাবাজ রয়েছে
- রয়েছে আমফানকাণ্ডও
তাপস দাস, প্রতিনিধি, মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবারের ভোটে কঠোর আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিভিন্ন ইস্যুতে তারা একেবারে ঘিরে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তার মধ্যে কতকগুলি ইস্যুতে তৃণমূলের জবাব দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মোট ১০টি তেমন ইস্যু এখানে তুলে ধরা হল।
১. সিন্ডিকেট- সব্যসাচী দত্ত তখন তৃণমূল কংগ্রেসে। সে সময়ে তাঁর সঙ্গে বারাসতের কাকলি ঘোষদস্তিদারের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ও দু পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ লেগেই থাকত। এতটাই জল গড়িয়েছিল, যে মমতাকে তার মধ্যে ঢুকতে হয়। বিষয় ছিল, নিউটাউন অঞ্চলের সিন্ডিকেট কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ২০১১ সালে মমতা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে রাজ্যে সিন্ডিকেট একটা স্বাভাবিক আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। সকলেরই মুখে ফেরে এই শব্দটা। সিন্ডিকেটকে মেনে নিয়েই বাংলার জনজীবন এগিয়ে চলে। এবং সিন্ডিকেটের তৎপরতা বাড়তেই থেকেছে গত এক দশকে। বাম আমলে যা ছিল প্রোমোটার রাজ, তা তৃণমূল আমলে সিন্ডিকেট রাজে পরিণত হয়। এলাকার ক্ষমতা কোন সিন্ডিকেটের হাতে থাকবে, তার উপরেই নির্ভর করে রাজনৈতিক পাশা, এবং অবশ্যই আয়ের। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা রোজগার কোনও গল্প কথা নেই, তা ঘোর বাস্তব। ১০ বছরের সেই প্রতিপত্তির কাহিনি এবার নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু, যার জবাবদিহির দায় সামলাতে মমতাকে বেগ পেতে হবে, হচ্ছে।
২. বালি মাফিয়া- তৃণমূল কংগ্রেসের গত ১০ বছর সময়কালে সবচেয়ে না হলেও স্থানবিশেষে অন্যতম সোনার খনি হয়ে উঠেছে বালিখাদান। অজয়, দামোদর, ময়ূরাক্ষী, কংসাবতী, শিলাবতী, সুবর্ণরেখা নদীর বালি উত্তোলন বেআইনি। তাতে অবশ্য কিছু এসে যায় না শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের। এই অবৈধ বালি উত্তোলনের ফলে রাজস্বের ক্ষতি, নদীর জীবনীশক্তি হ্রাস, পাড়ের ভাঙন, নদীবাঁধের ক্ষয় এসবে এসে যায় না কাঁচা টাকার কারবারিদের। বালি দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকে থানাও। বীরভূম এলাকায় গোটা বালি দুর্নীতি চলে কাগজে কলমে, যার নাম প্যাড। একটি কাগজে গাড়ির নম্বর, খাদানের নাম ও তারিখ লেখা চিরকুট। সেটাই বালি তোলার ছাড়পত্র। এসব অভিযোগ গোপন নয়। কিন্তু কিছু যায় আসে নি এতদিন কারও। প্রকাশ্য এই দুর্নীতির এক দশক পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লড়তে হচ্ছে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে, যার সপক্ষে বলার মত তাঁর প্রায় কিছু নেই।
ভোট ময়দানে ভারতী ঘোষ, ডেবরায় তৃণমূল শান্তিপূর্ণ ভোটদানে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ ...
৩. শিক্ষা ও টেট দুর্নীতি- শিক্ষকতার চাকরি এক অভূতপূর্ব কেলেংকারি। বাংলার শিক্ষা ইতিহাসে এত বড় দুর্নীতি আগে কখনও হয়নি, ভবিষ্যতেও সম্ভবত হবে না। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে পরীক্ষা তাকেই বলা হয় টেট। সে পরীক্ষা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সরকারের আমলে। বছরের পর বছর বন্ধ থেকেছে নিয়োগ। শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরতদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশ জেনে গিয়েছে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পশ্চিমবঙ্গে টাকার খেলা চলে। যত ঘুষ, তত চাকরির সম্ভাবনা, এই হিসেবেই চলেছে বাংলা। মমতা সরকারের এই দুর্নীতি ও শিক্ষকনিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের বিধায়ক ফাঁস করেছেন সে দুর্নীতির খবর। স্ত্রী, আত্মীয়া সহ ৬২ জনকে চাকরি করে দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূলের নেতার কথায়। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত বিরোধীরাই তৃণমূলকে ফের একবার নিশানা করেছে ভোটের সময়ে। শুধু প্রাথমিক শিক্ষক নয়, গোটা শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থাই ধসে পড়েছে বাংলায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নিয়ে যে অব্যবস্থা রাজ্যে তৈরি হয়েছে, তাতে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার চেহারাও অতীব সংকটজনক। এই পরিস্থিতি একই সঙ্গে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ নষ্ট করছে, যোগ্যতমকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে, তেমনই যোগ্যতমের কাছ থেকে শিক্ষা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে সমস্ত স্তরের শিক্ষার্থীদের।
৪. রাজ্যে জামাত ই ইসলামির স্লিপার সেল- তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে মারাত্মক অভিযোগ বিজেপি তুলেছে, তা এই দল ও সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের জামাত ই ইসলামির যোগাযোগের। সে অভিযোগ খুব যে প্রমাণ করা গিয়েছে এমন নয়, কিন্তু মমতা সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপের সঙ্গে এই অভিযোগ এমনভাবে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে তা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে অনেকের কাছেই। এমন অভিযোগও উঠেছে যে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে জামাতের দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছে, এবং তাতে মদত রয়েছে সরকারি দলের লোকজনের। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে বেশ কিছু জঙ্গি যোগাযোগ এনআইএ-র তদন্তে প্রতিষ্ঠিত হবার পর ধারে ও ভারে এই অভিযোগ বেড়েছে। এবারের ভোটে বিজেপির নেতারা, বিশেষ করে সদ্য দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে অতি সরব। তবে এ অভিযোগ যতই নিবিড় হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বা দলের বিরুদ্ধে তা এখনও অপ্রমাণিতই। তবে তৃণমূলের এক রাজ্যসভা সদস্যের সঙ্গে বাংলাদেশের জামাতে ইসলামির যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় সীমান্ত পেরিয়ে জামাতের হাতে কোটি কোটি টাকা পৌঁছেছে বলেও খবর। অভিযোগ, খাগড়াগড়ে জামাতের স্লিপার সেল চলত, এবং তেমন স্লিপার সেল তৃণমূল আমলে বহুল পরিমাণে চালু রয়েছে।
৫. ইমাম ভাতা- জামাত যোগের প্রসঙ্গ যে যে কারণে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার অন্যতম, মমতার মুসলিম ভোটব্যাংক নির্ভরতা ও তা নিয়ে কোনও রকম লুকোছাপা না করা। যে গরু দুধ দেয়, তার চাঁটও সইতে হয় - মমতার এই বয়ান এত বহুল স্তরে প্রচারিত হয়েছে, যে তা পৌঁছয়নি এমন কোনও কান বাংলায় সম্ভবত নেই। এর পর ইমামভাতার ঘোষণা ও তা লাগু করার ফলে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ আরও সুদৃঢ় হয়। ইমামভাতা চালু হয় মমতা ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই, ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে। ইমামদের জন্য মাসে আড়াই হাজার টাকা ও মুয়াজ্জিনদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে দেবার কথা ঘোষণা করেন মমতা। এর পর মুসলিম তোষণের অভিযোগ চরমে ওঠে মমতার বিরুদ্ধে।
৬. আমফান দুর্নীতি- আমফান ঝড়ের সময়ে মমতা সরকার দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে যথেষ্ট সচেষ্ট হয়েছিল। কিন্তু গোলমাল শুরু হয় তার পরে, যখন দুর্গতদের জন্য সাহায্যের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। ত্রাণ বিলিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের মে মাসের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ক্ষতিপূরণ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে নতুন করে হিসেবনিকেশ, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হয় বলে দাবি করে রাজ্য সরকার। তবে এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। গত ১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সংস্থা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা CAG-কে দিয়ে আমফান দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। এবার এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এর ফলে দুর্নীতির অভিযোগ আরও পাকাপোক্ত হয়। বিজেপি এবারের নির্বাচনে কোনও জায়গাতেই আমফান দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে ছাড়ছে না। এমনকী এর তদন্তে বিশেষ তদন্ত দল গঠনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।
৭. শিল্পহীন বাংলা- চপশিল্পের কথা বলে মমতা বাংলায় বহুনিন্দিত হয়েছেন। রাজ্যে বিনিয়োগ আনার ব্যাপারে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ না হতে দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, আর শিল্প ক্ষেত্রে রাজ্যের পিছিয়ে পড়ার জন্য তিনি নিজে ভোটের হারে কতটা পিছিয়ে পড়বেন, সে নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরে আশঙ্কার শেষ নেই। মমতা শিল্প আনার জন্য মাঝে মাঝে বিদেশ গিয়েছেন, সেখানে গিয়ে তাঁর তাঁবেদার সাংবাদিক রুপোর চামচ চুরি কেলেংকারিতে জডিয়েছেন, কিন্তু শিল্পে বিনিয়োগ আসেনি। শিল্পোদ্যোগীদের ডেকে বছর বছর মেলা করেছেন, তাতে দেশের তো বটেই এমনকী বিদেশের কোনও কোনও উদ্যোগপতিও হয়ত যোগ দিয়েছেন, প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, কিন্তু বাংলায় কোনও শিল্প গড়ে ওঠার হদিশ পাওয়া যায়নি, যা থেকে কর্মসংস্থান হতে পারে। এই ইস্যুতেও বিজেপি চেপে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তারা গুজরাট সহ বিজেপিশাসিত রাজ্যের শিল্পের খতিয়ান দেখাচ্ছে এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে শিল্পোন্নত বাংলার, যা একসময়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যেরও স্বপ্ন ছিল।
৮. ক্লাব অনুদান- মমতার ভোট যুদ্ধ জয়ের অন্যতম শস্ত্র ক্লাব। তাঁকে সিপিএমের ভাল ছাত্রী বলে উল্লেখ করা হয় যে যে কারণে, তার অন্যতম ক্লাবকে নিজের দখলে নিয়ে আসা। বাম আমলের মাঝামাঝি সময় থেকে শাসক দল ক্লাবগুলির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের আওতায় আনতে শুরু করে। তার সাফল্য ছিল তার সংগঠনে। সাংগঠনিক ভিত অতীব মজবুত হবার কারণে সিপিএম এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সাফল্য পায়। তৃণমূল কংগ্রেসের তেমন কোনও সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। ফলে তিনি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। ভিটামিন এম এ কাজে তাঁর সহায়। তিনি দুর্গাপুজো সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন, এবং এর ফলে তাঁবে রেখেছেন ক্লাবের সংগঠনকে, শামিল করেছেন প্রচারে, ভোট একজোট করেছেন অনেকটাই। প্রথম দিকে বিষয়টা এতটাই চোখে লাগার মত ছিল যে সকলেই হতচকিত হয়েছেন, কিন্তু মমতার শাসনকালে এ সব শুধু অভ্যাসই নয়, নিয়ম হিসেবেও মেনে নিতে শুরু করেছেন সবাই। এক দশক নিরবচ্ছিন্নভাবে শাসনকাল চালাবার পর আজ এ সব নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন তিনি।
৯)কয়লা দুর্নীতি- কয়লা কেলেংকারি সম্ভবত তৃণমূলকে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা করেছে সম্প্রতি। এই দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই ও ইডি একযোগে তদন্ত করছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী, শ্যালিকা ও আরও আত্মীয়কে। তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র ফেরার হয়েছেন এই কাণ্ডে। রানিগঞ্জ আসানসোল এলাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়লা তুলে তা পাচার করা হত ঝাড়খণ্ড, বিহার, এই সিন্ডিকেট প্রতিদিন বাজার থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা আয় করত বলে অভিযোগ। ভোট ঘোষণার ঠিক আগে এই কেলেংকারির তদন্তে নেমেছে সিআইডি ও ইডি। মমতা ও অভিষেকের অভিযোগ, এ ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে ভয় দেখাতে চাইছে কেন্দ্রে সরকারে থাকা বিজেপি। এমনকী প্রশ্ন তোলা হয়েছে, রাজ্যে তদন্তের জন্য সিবিআই কেন রাজ্য সরকারের অনুমতি নিল না। কেন্দ্রীয় সংস্থা অবশ্য তার যথোচিত উত্তরও দিয়েছিল। তার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কয়লা নিয়ে মমতা-অভিষেক যে কোণঠাসা হয়েছেন, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
১০. গরু পাচার- মমতা সরকারের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতি নিয়েও প্রবল সরব হয়েছে ভাজপা। কয়লা পাচারের লালা ও গরু পাচারের এনামুলের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগও সামনে এসেছে। কয়লার গাড়িতে গরু ও গরুর গাড়িতে কয়লা পাচার করা হত বলেও জানা গিয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডেরও তদন্ত করছে সিবিআই। জানা গিয়েছে এনামুল হক এই পাচার চক্রের হোতা। গরু পাচারে অভিযুক্ত বিএসএফ কর্মী সতীশ কুমারের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে বিস্মিত হয়েছে সিবিআইও। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বীরভূমের এক তৃণমূল নেতার। মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুলকে গত নভেম্বর মাসে গ্রেফতার করে সিবিআই। ভিন দেশে গরু পাচার করে কোটিপতি হওয়ার জন্য তার কোন কোন নেতার সঙ্গে যোগ ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য সরকারের প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এত বড় চোরাকারবার চালানো সম্ভব কি না।