সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূলের মন্ত্রিসভা গঠনের মাঝেই নিশানায় রাজ্য বিজেপি
- বিজেপির বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্তে তোপ অধীরের
- পাশাপাশি জয়ী বিধায়কদের তুলোধোনাও করেন তিনি
- এতে ভোটারদের অসম্মান জানানো হচ্ছে বলে দাবি অধীরের
তৃণমূলের মন্ত্রিসভা গঠনের মাঝেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিশানায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বহরমপুর এর সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি জয়ী বিধায়কদের তুলোধোনাও করেন।
আরও পড়ুন, অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি, সাপ্লাই-মালিকের বাড়িতে অভিযান চালাল পুলিশ-জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল
বিধায়ক হিসাবে শপথ গ্রহণের পরেও ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে বিধানসভার যাবতীয় কার্যকলাপ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপি-র এই সিদ্ধান্তকে শুরুতেই তুলোধোনা করে অধীর চৌধুরী বলেন, 'বিধানসভা যদি বয়কট করবে, তা হলে বিজেপি নির্বাচনে অংশ নিল কেন। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেয়। বিধানসভা বয়কট করতে হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোন মানেই থাকেনা।শুধুমাত্র সরকার গড়তেই কি নির্বাচনে অংশ নেওয়া,গণতন্ত্রে সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষ উভয়কেই থাকতে হবে। কারণ, বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে কোনও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না।'
আরও পড়ুন, শিক্ষায় ব্রাত্য-শিল্পে পার্থ, মন্ত্রী সভার দফতর বন্টন মমতার, জানুন বাকিরা কী কী দায়িত্বে
অধীর আরও সমালোচনা করে বলেন,'ভারতীয় জনতা পার্টির বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্তে যাঁরা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন তাঁদের অসম্মান জানানো হচ্ছে। বিধানসভায় যদি তাঁরা হাজিরই না থাকেন তা হলে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলবেন কী ভাবে। মানুষের কথা বলার জায়গা বিধানসভা ও লোকসভা। বিধানসভার মধ্যে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করা কিংবা প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু সম্পূর্ণ বিধানসভাকেই বয়কট করায় মানুষের রায়কে অমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।বিজেপি-র এই সিদ্ধান্ত ও ব্যবহারের পিছনে পরাজয় মানতে না পারার মানসিকতা লুকিয়ে আছে। তারাও তৃণমূলকে অনুসরণ করছে ঘুরিয়ে।'