সংক্ষিপ্ত
দিলীপ ঘোষের 'বারমুডা'-মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক
তা নিয়ে যদিও আদৌ আক্ষেপ নেই দিলীপ ঘোষের
তুললেন, মমতার বিরুদ্ধেই বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করার অভিযোগ
ঠিক কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি
বুধবারই, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের 'বারমুডা'-মন্তব্য নিয়ে উত্তাল হয়েছিল বাংলা। পুরুলিয়ার এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি পা-ই দেখাতে চান, তাহলে তাঁর শাড়ি নয়, বারমুডা পরা উচিত। কঠোর সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এই মন্তব্য অসংবেদনশীল এবং নারীদের প্রতি অবমাননা। তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করতে পারে। একদিন পরই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ। ক্ষমা চাওয়া তো দূর অস্ত, বরং তাঁর অভিযোগ, মমতাই বঙ্গ সংস্কৃতিকে অপমান করেছেন।
দিলিপ ঘোষের সাফ কথা, তাঁর মন্তব্য মোটেই মহিলাদের অবমাননাকারী নয়। তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় মা-বোনেরা শাড়ি পরেন। শাড়ি শালীনতার প্রতীক। শাড়ি পরে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ্যে পা দেখিয়ে বেড়ানোটা বাংলার সংস্কৃতিতে যথাযথ নয়। মুখ্যমন্ত্রী বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে প্রচুর কথা বলেন, তাঁর কাছ থেকে এ জাতীয় আচরণ আশা করা যায় না। তিনি বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই, এই মন্তব্যের কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ারও প্রয়োজন নেই, এমনটাই বলছেন দিলীপ ঘোষ।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে বাঁ পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই আহত পায়ে এখন ব্যান্ডেজ বাঁধা, হুইল চেয়ারে গিয়ে সভা করছেন তিনি। তবে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর কোনও সহানুভূতি নেই বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। কারণ, মমতা মহিলাদের অপমান করেছেন। আঘাত থেকে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিজেপি সভাপতির দাবি, তার আগে তাঁকে গত দশ বছরের হিসাব দিতে হবে। তিনি তা না দিয়ে 'নাটক' করছেন, বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ। তাঁর মতে, এরপরও মহিলা ভোটাররা বিজেপির পক্ষেই থাকবেন। কারণ, গত ১০ বছরের নির্যাতন ও অপমানে মমতার প্রতি তাঁরা বীতশ্রদ্ধ।
আরও পড়ুন - মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে বেশি পিছিয়ে নেই দিলীপ, কে পাবে বাংলার তাজ - কী বলছে জনমত সমীক্ষা
আরও পড়ুন - মমতার পোশাক নিয়ে 'অশালীন' মন্তব্য - বিতর্কে বিজেপি সভাপতি, কী বলেছিলেন দিলীপ
আরও পড়ুন - 'ভাইপো'র জন্যই কি ডুবছে তৃণমূল, নাকি আসন্ন নির্বাচনে তিনিই 'দিদি'র অক্সিজেন
দিলীপ ঘোষ আরও বলেছেন, ঠিক ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের মতোই এবারও তাঁদের প্রতিটি কর্মসূচিতে ব্য়াপক মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। সেইবার রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন পেয়েছিলেন তাঁরা। এবারও জনসভার ভিড়কেই, বিজেপির জয়ের সূচক বলে মনে করেছেন তিনি। তাঁর মতে এই ভিড় বলে দিচ্ছে, এবার তৃণমূল পুরো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং বিজেপি ২০০-রও বেশি আসন পাবে।