সংক্ষিপ্ত
- বঙ্গভোট নানাবিধ সঙ্গীতনির্ভর হয়ে উঠেছে
- টুম্পা সোনার জনপ্রিয়তায় উদ্বুদ্ধ বামেরা
- জনতা পার্টির তরফে একটি প্যারোডি প্রকাশ করা হয়েছে
- বড়লোকের বিটি লো-র সুরে গানটি সোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে
তাপস দাস- এবারের বঙ্গভোট নানাবিধ সঙ্গীতনির্ভর হয়ে উঠেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে ১৭ মার্চ একটি প্যারোডি প্রকাশ করা হয়েছে। BJP4Bengal টুইটার হ্যান্ডেলে এই প্যারোডির সঙ্গে যা লেখা হয়েছে, তার মোদ্দা বাংলা বয়ান এরকম, ১০ বছরে যদি সত্যিকারের কাজ করা হত, তাহলে শূন্যগর্ভ প্রতিশ্রুতির তালিকা দিতে হত না মমতাকে। স্পষ্টই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী ইশতেহারই এই বক্তব্যের উদ্দিষ্ট।
আরও পড়ুন- রামায়নের গল্প বলে পুরুলিয়ায় জল সংকট মেটানোর আশ্বাস, জেনে নিন সীতাকুণ্ডের পৌরানিক আখ্যান
বিভিন্ন গানকে, বা সিনেমার ক্লিপিংকে প্যারোডি হিসেবে ভোটের সময়ে তুলে ধরা খুব নতুন কিছু নয়। কমবেশি প্রতিবারই এরকম ঘটে থাকে। তবে এবার সম্ভবত এ নিয়ে আলোড়ন বেশি হচ্ছে দুটি কারণে। প্রথমত সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের চটুল উপাদান দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সর্বত্র। দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় কারণ, জনতাকে ব্রিগেডমুখী করতে বামেদের টুম্পা সোনা গানের প্যারোডি। টুম্পা সোনার জনপ্রিয়তায় উদ্বুদ্ধ বামেরা এরপর লুঙ্গি ড্যান্সের সুরে আরও একটি গান প্রকাশ করেছে, যা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। বিজেপি বাংলা যে প্যারোডি প্রকাশ করেছে, তা বড়লোকের বিটি লো গানের সুরে রচিত। উল্লেখ থাকা দরকার, কিছুদিন আগেই বিজেপির তরফ থেকে বিশ্বপ্রসিদ্ধ সঙ্গীত বেলা চাওয়ের সুরে পিসি যাও বলে একটি গান প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন- 'BJP বলে বিকাশ হবে', পুরুলিয়ায় 'খেলা হবে'-র পাল্টা পানীয় জলের ইস্যুতে মমতাকে নিশানা মোদীর
সদ্য প্রকাশিত, বড়লোকের বিটি লো-র সুরে যে গানটি সোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে, বিজেপি সেই গানের শুরুতেই বলেছে, মিথ্যেবাদী পিসি গো টাটা তৃণমূল, বাংলায় এবার ফুটবে গেরুয়া পদ্মফুল। গানের ভিডিওতে মদন মিত্র, অনু্ব্রত মণ্ডলের ক্লিপিং যেমন ব্যবহার করা হয়েছে, তেমনই রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাপ্পড় খাওয়ার ভিডিও ছবিও। গানের কথায় তোপ দাগা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে মমতার দাবিকে, আবার একই সঙ্গে তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও রস সৃষ্টি করা হয়েছে।
সদ্যপ্রকাশিত গানটির সুরের সঙ্গে অবশ্য মূল গানের চেয়ে কিছুদিন আগে প্রকাশিত জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের ভিডিও সম্বলিত বাদশাকৃত গানের। যে গান নিয়ে বহুল বিতর্কের পর, বাদশার সঙ্গে রতন কাহারের নামও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল ক্রেডিটলাইনে।
আরও পড়ুন- গতি হারিয়েছে শিল্পায়ন, বেকারত্বের জ্বালায় হাহাকার হলদিয়ায়
বঙ্গের এবারের ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতিতে গানের লড়াইয়ে অন্তত বামজোট বা বিজেপির চেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে, সে নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এটাও ঘটনা যে সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির পরেই সবচেয়ে সক্রিয় বামেরা। এ ধরনের কনটেন্ট প্রস্তুতি ও তার প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল ধারে কাছেই আসতে পারে না। নতুন ভিডিওর সাহায্যে ভোট যুদ্ধে তৃণমূলকে উৎখাত করতে প্রজাপতি উড়িয়ে মমতার উইকেট বিজেপি নিতে পারবে কিনা, তা অবশ্য সময়ই বলবে।