সংক্ষিপ্ত
- প্রকাশ্যে মমতার আমন্ত্রণ পত্র
- বিশ্বভারতীর দেওয়া আমন্ত্রণ পত্র প্রকাশ্যে
- চিঠির প্রাপ্তী স্বীকার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
- মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে দাবি ব্রাত্যর
বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আমন্ত্রিত জানানো হয়েছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তৃণমূলের তরফে ব্রাত্য বসু দাবি করেছেন, বিশ্বভারতীর তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাঁর এই দাবির পরই প্রকাশ্যে এল মমতাকে দেওয়া বিশ্বভারতীর সেই আমন্ত্রণ পত্র। এই আমন্ত্রণ পত্র প্রকাশ্য়ে আসার পরই বিতর্ক নতুন করে শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-ভোটের আগে বাংলায় ঢালাও বিনিয়োগ, একগুচ্ছ শিল্প সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু, ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকী নিয়ে তিনি একটি ট্যুইট করেই বিরত থাকেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের ব্রাত্য় বসু। দানা বিতর্ক বাঁধে। এরই মাঝে প্রকাশ্যে আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে দেওয়া বিশ্বভারতীর সেই আমন্ত্রণপত্র। বিশ্বভারতীর লেটার হেডে আমন্ত্রণ পত্র নিজেদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ট্যাগ করে তাঁর ঘৃণনার রাজনীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-'কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বানিয়েছে', কাঁথিতে পদযাত্রা থেকে তৃণমূলকে হুঙ্কার শুভেন্দুর
যদিও, সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য় বসু পালটা প্রশ্ন করেন, ''চিঠির প্রাপ্তী স্বীকার হয়েছিল কি ? ওই চিঠির প্রাপ্তী স্বীকারের নথি আছে কি ?উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন নাকি''? প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর একটা নিয়ম আছে। এইভাবে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়''। প্রসঙ্গত, ২৯ ডিসেম্ববর বোলপুরে অমিত শাহের পালটা পথসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।