সংক্ষিপ্ত

  •  আচমকা ভয়াবহ হামলা শহরের হাসপাতালে 
  • তছনছ করা হয়েছে হাসপাতালের জরুরী নথীপত্র
  • এমনটাই জানালেন বিজেপি কর্মী সজল ঘোষ
  • 'বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই হামলা', দাবি সজলের 


শনিবার আচমকা ভয়াবহ হামলা শহরের হাসপাতালে। জেএন রায়  হাসপাতালের ( JN ROY Hospital)অ্য়াডমিনিস্ট্রেটর ( Administrator) বিজেপি কর্মী সজল ঘোষ জানিয়েছেন, হাসপাতালের উপর হামলা চালায় প্রায় দেড়শ দুষ্কৃতি। এমনকি মহিলাদেরও ছাড়েনি তারা। এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন, BJP-তে যোগ দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী, নাড্ডার উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ 

 

 


বিজেপি কর্মী সজল ঘোষ জানিয়েছেন, আচমকাই প্রায় ১৫০ জন মতো দুষ্কৃতি এসে হামলা চালায় আমাদের জেএন রায় হাসপাতালে। হামলা চালিয়ে টেনে বার করে মহিলাদের। স্টাফদের মারধোর করেছে। তছনছ করে দিয়েছে হাসপাতালের জরুরী নথীপত্র।  চাবিও ছুড়ে ফেলেছে। সজল অভিযোগ করেছেন, এই গোটা হামলার ঘটনাকে নের্তৃত্ব দিয়েছেন সিপিআইএমের নীহার ঘোষ। কিন্তু তারই সঙ্গে একটা রহস্যে ভরা খোঁচা দিয়ে বলেছেন, এই মুহূর্তে সিপিআইএম-ই বা ১৫০ জনকে জোগাড় করবে কী করে। অভিযোগ তুলেও কোথাও যেনও কৌতুকের খোঁচা আলগোছে দিয়েছেন তিনি।

আরও রবিবার মোদীর সভায় অক্ষয়কুমার, প্রধানমন্ত্রীর বিগ্রেডে সমাবেশে থাকতে পারেন মিঠুনও  

 

 


 উল্লেখ্য, সজল ঘোষ ছাত্র জীবন থেকেই দাপিয়ে রাজনীতি করেন। প্রথম জীবনে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের শুরুর দিন থেকে অর্থাৎ ১৯৯৮ সাল থেকেই তিনি রয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে।  কলকাতার সিটি কলেজে পড়া কালীন ছিলেন জিএস, পরে জেলা এবং সবশেষে রাজ্যের ছাত্র সংসদের সভাপতি। এরপরেই তৃণমূল ছেড়ে এসে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিজেপিতে যোগদান করেন সজল ঘোষ।  হামলার এই ঘটনা প্রসঙ্গে সজল ঘোষ আরও জানিয়েছেন, 'গত বছর আগে জেএন রায় হাসপাতালের ট্রাস্টি বদল হয়ে সেটা আমাদের হাতে আসে। এতগুলি বছরে কখনও এমন আগে হয়নি।'

আরও পড়ুন, 'ভোট লুটে তৃণমূলের বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন সুদীপ জৈন', বিস্ফোরক অধীর 

 

 


প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান  প্রথমদিকে অতোটা হয়তো ততোটা চোখে ধরা পড়েনি। তবে মুকুলের পর শুভেন্দুর দল ছাড়াটা যে তৃণমূলে পুরো ভরাডুবি বা প্রকৃত অর্থে ভাঙন, তা মেনে নেন ঘাসফুল শিবিরেরও অনেকেই। কারণ শুভেন্দুর দল ছাড়ার পর শিশির পুত্রকে অনুসরণ করে শত শত নেতা-কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে এসে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। শুভেন্দুর পরেই দল ছেড়েছেন সৌমেন্দু- রাজীব-দীনেশ। কাঁথির সভায় শুভেন্দুর হুঙ্কার না ধরে নিলেও ডায়মন্ডহারবারে তার প্রতিফলনটা ঠিক ধরা পড়ে। রাজ্য়ের প্রধান তিন দলের মধ্য়ে ইতিমধ্য়েই প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল-বামেরা। ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছেন অনেকেই। তাই শনিবার মোদীর ব্রিগেডের ঠিক আগে তাহলে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে, ক্ষোভটা কোথায়, হাসপাতালের ট্রাস্টির হাতবদল নাকি ভোটের মুখে দল বদল। কী কারণে খেসারত দিতে হল সজল ঘোষকে। এই হামলাও একসুরে গাঁথা নয়তো, চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।