সংক্ষিপ্ত
- মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম সফরের দিনেই সেখানে লকেট চট্টোপাধ্য়ায়
- বীরভূমে ছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য
- চড়া সুরে আক্রমণ লকেটের
- শমীকের নিশানা অনুব্রত মণ্ডল
প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেরা ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষকে সচেতন করেছে। কারণ তাঁরা প্রতি রাজ্যের অভিভাবক। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নেননি। আর এখন উনি ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন করে সমালোচনা করে বেড়াচ্ছেন”। মুখ্যমন্ত্রীর তারাপীঠ সফরের ঘন্টাখানেক আগে মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে এভাবেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার দুপুরে কমিশনের নির্দেশ এবং করোনা বিধি মেনে রামপুরহাট বিধানসভার চাকপাড়া মাঠে সভা করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাসের থেকে বড় ভাইরাস তৃণমূল। দশ বছর ধরে এই ভাইরাস মানুষকে শেষ করে দিয়েছে। সেই ভাইরাসকে এবার নিশ্চিহ্ন করতে হবে”। অনুব্রতর নাম না নিয়ে লকেট বলেন, “এখানে ছাপ্পা ভোটের বিখ্যাত আছে একজন। তিনি ভাবছেন ছাপ্পা দিয়ে জিতে যাব। কেউ কিছু করতে পারবে না। উনি ভাবছেন ২০১৬ সালের মতো বৈতরণী পার হবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তারাই সুরক্ষা দেবে। আর সন্ত্রাস করে যেতা যাবে না”। সভা শেষে বিজেপি সাংসদ সোজা চলে যান তারাপীঠ মন্দিরে। মা তারার পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ভোটের আগে থেকে। তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে সকলকে সচেতন করেননি। উনি করোনাকে শিখণ্ডী করে, মোদীর বিরোধিতা করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে আরও দু’দফা ভোটে রিগিং করার চেষ্টা করছেন। তারাপীঠ মন্দিরে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি সন্ত্রাস কখন সত্য হতে পারে না। মানুষের বিকাশই সত্য। উনি যতই বলুন পাঁচ মে থেকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন। ওনার কথা কথাই থেকে যাবে। ২ মে’র পর আমরাই ক্ষমতায় এসে মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেব”।
এদিকে এদিন বেলার দিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য রামপুরহাটে বুদ্ধিজীবীদের একটি সভায় মিলিত হন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রীতেশ তেওয়ারি, রামপুরহাট বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী শুভাশিস চৌধুরী। সভায় শমীকবাবু সাংবাদিকদের বলেন, “আয়কর দফতর একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। তারা কার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি আছে দেখছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই”। বীরভূমে ভোট রিগিং প্রসঙ্গে শমীকবাবু বলেন, “এই লড়াই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই। দুই দফা নির্বাচন বাকি। এর মধ্যে তৃণমূলের কেউ কেউ হুমকি দিচ্ছে। যেমন প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে দপ করে জ্বলে ওঠে। তবে কেউ সুবিধা করতে পারবে না। মানুষ গণতন্ত্রের উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। ওরা ভেবেছিল পঞ্চায়েত, পুরসভা, কর্পোরেশনের মতো ভোট লুঠ করবে। কিন্তু পারবে না। এবার যারা বলেছিলেন খেলা হবে তারা ফল প্রকাশের পর দুপুরে নাতি নাতনিদের সঙ্গে লুডো খেলবে”।