সংক্ষিপ্ত

  • চৌরঙ্গীতে বরাবরই দাপট তৃণমূলের
  • হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়
  • বিজেপি-র প্রার্থীপদ নিয়ে জটিলতা হয়েছিল
  • লোকসভা ভোটে চৌরঙ্গীতে তৃণমূল বড় লিড পায়

তাপস দাস, প্রতিনিধি: এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর প্রার্থীর বিজেপি যোগ যদি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সবচেয়ে অস্বস্তির হয়, তবে বিজেপির পক্ষে সর্বাপেক্ষা অস্বস্তির ঘটনা ছিল চৌরঙ্গী ও কাশীপুর বেলগাছিয়া বিধানসভার ঘটনা। দিল্লি থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশেই ছিল গোলমাল। 

আরও পড়ুন: নজরবন্দিকে গুরুত্ব দিতে চান না অনুব্রত মণ্ডল, চান ভোটে দলের হয়ে কাজ করতে

প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রের নাম চৌরঙ্গী বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিজেপি। শিখা জানান, তাঁর সম্মতি না নিয়েই বিজেপির তরফ থেকে এক তরফা ভাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একই ঘটনা ঘটে কাশীপুর বেলগাছিয়া নিয়েও। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বিস্তর হৈচৈ হয়। এর পর দুই কেন্দ্রেই নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে পদ্মশিবির। 

আরও পড়ুন: Election Live Update-রাত পেরোলেই রাজ্যে ভোট, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশ্যে কটুক্তি করায় ফিরহাদকে শোকজ

চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্রের রেকর্ড রয়েছে। এই বিধানসভা আসনে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনও কোনও বাম প্রার্থী জেতেননি। কেবল মাত্র ১৯৯৩ সালের উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায়। আরও রয়েছে। এই আসন থেকে জিতেছেন রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রী, ডক্টর বিধানচন্দ্র রায় ও সিদ্ধার্থ শংকর রায়। ২০০৬ সাল থেকে এই আসন চলে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। সেবার জিতেছিলেন সুব্রত বক্সী। ২০১১ সালে এই আসনে জেতেন সে সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকা শিখা মিত্র। ২০১৪ সালে শিখা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং বিধায়ক পদও ছেড়ে দেন। সে বছর উপনির্বাচনে জেতেন তৃণমূল কংগ্রেসের নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালেও চৌরঙ্গী থেকে জিতেছিলেন নয়না। ২০২১ সালেও তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

বিজেপি শিখা মিত্র কাণ্ডের পর এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে দেবদত্ত মাঝিকে। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সন্তোষ পাঠক। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে শিখা মিত্র জিতেছিলেন নিকটতম প্রার্থী আরজেডি-র বিমল সিংকে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটে হারিয়ে। বিজেপি প্রার্থী সেবার এই আসনে ৪৭৯৯ ভোট পেয়েছিলেন। 

২০১৪ সালের উপনির্বাচনে তৃণমূলের নয়না জেতেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে বিজেপি। ২৩ হাজার ৯৮৪ ভোট পান রীতেশ তেওয়ারিকে। নয়না পেয়েছিলেন ৩৮ হাজার ৩২৮ ভোট। কংগ্রেস নেমে যায় তিন নম্বরে। 

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফের নয়না জেতেন। সেবার কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সোমেন মিত্র। সোমেন মিত্রকে ১৩ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ফের নেমে যায় তিন নম্বরে। রীতেশ তেওয়ারি ১৫ হাজার ভোট পান। 

এবার এই কেন্দ্রে নির্বাচন হবে শেষ দফায়, ২৯ এপ্রিল।