সংক্ষিপ্ত
- রবিবার ফলপ্রকাশের অপেক্ষায় সারা বাংলা তথা দেশ
- নীলবাড়িতে বিরাজ করবে কে, উত্তর লুকিয়ে ভোটবাক্সে
- ভোট গণনার জন্য মোট ১০৮ টি গণনা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে
- এদিন সকাল ৮ টা থেকে গণনা শুরু হওয়ার কথা
রবিবার ফলপ্রকাশের অপেক্ষায় সারা বাংলা তথা দেশ। নীলবাড়িতে বিরাজ করবে কে, এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে ভোটবাক্সে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কি মমতা, নাকি বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার আসবে, এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অবেশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হবে বাংলার সব হেভিওয়েটের।
আরও দেখুন, Bengal Election Counting Live- বাংলা এবার কার দখলে, ফল জানাতে তৈরি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা
এবার ভোট গণনার জন্য মোট ১০৮ টি গণনা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। এদিন সকাল ৮ টা থেকে গণনা শুরু হওয়ার কথা। কোনওরকম হিংসা যাতে না ছড়ায় সেজন্য ২৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে গণনা কেন্দ্রগুলিতে। এর মধ্যে অধিক সংখ্যায় গণনাকেন্দ্র থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। করোনা বিধি নিয়ে খুবই কড়া নির্বাচন কমিশন। গণনাকেন্দ্রে এদিন থাকতে হলে কোভিড পরীক্ষায় পাশ করতে হবে , অর্থাৎ রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে তবে সে বসার অনুমতি পাবেন।
আরও পড়ুন, নবাব নগরীকে ঘিরে জমে উঠেছে পাটিগণিতের হিসেব-নিকেশ, কে হবে মুর্শিদাবাদের মুখ
উল্লেখ্য চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম এবং পদুচেরি এই ৫ রাজ্যে একই সঙ্গে ভোট হয়। তবে গোটা দেশের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেই। একুশের হাড্ডাহাড্ডি ভোটের লড়াইয়ে গেরুয়া শিবির-ঘাসফুল শিবির দুই দলই ২০০ আসন পাওয়ার দাবি করছে। মমতাকে বারবার নিশানা করে মোদী,শাহ, নাড্ডা বলেছেন আসল পরিবর্তনের কথা। বিশেষ করে বাংলার মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য কর্ম সংস্থান, কৃষি, শিল্প, পানীয় জল ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে শুধু উন্নয়নই নয়, তৃণমূলকে হারানোর জন্য একাধিক রণকৌশল নিয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে অন্যতম মুকুল, শুভেন্দু, রাজীবের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ। এবং অবশ্যই কয়লাকাণ্ড-গরুপাচার কাণ্ডে রাজ্যবাসীর চোখের সামনে তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক সহ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, মদন মিত্রকে তলব করার ঘটনায় ভোট বাক্সে যে একটা বড়সড় প্রভাব ফেলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।