সংক্ষিপ্ত
ফলের প্রবণতায় বিজেপি বেশ পিছিয়ে। তাও দমছেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফলাফল বের হওয়ার আগেই প্রশাসকের ভূমিকায় তিনি। করোনা মোকাবিলায় নেমে পড়লেন দিলীপ।
ফলাফল ঘোষণা হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি রয়েছে। তবে সকালের ফলাফলের প্রবণতা বলছে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও অবধি গোটা রাজ্যের যা ভোট গণনা হয়েছে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। অন্যদিকে প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু, তাতেও দমছেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফলাফল বের হওয়ার আগেই যেন প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন তিনি।
এদিন সকালে মেদিনীপুর শহরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে, জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে বৈঠক করতেদেখা গেল তাঁকে। না কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়, মূলত করোনা পরিস্থিতি নিয়েই বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার নিমাইচন্দ্র মন্ডল-সহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্তা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সমিত দাস, এবং বিজেপি নেতা তুষার মুখোপপাধ্যায়ও।
বৈঠকে জেলায় অক্সিজেন কতটা মজুদ আছে, চিকিৎসা সামগ্রীর কী অবস্থা, চিকিৎসকদের সংখ্যা কত আছে, তা খতিয়ে দেখেন দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে কতজন করোনা রোগী এখন ভর্তি রয়েছেন, তাদের কী পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে, আরও কোনও সহযোগিতা লাগবে কিনা - সেইসব বিষয়েও খোঁজ খবর নেন তিনি। যা সহযোগিতা লাগবে, তা তিনি দেবেন বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ভোটের প্রবণতা অন্য কথা বললেও দিলীপ ঘোষ জোর দিয়ে বলেন, 'সরকারে আমরাই আসছি। মানুষের সহযোগিতা নিয়ে করোনা মোকাবিলা করব। আজ বৈঠক করে আলাপ-পরিচয় করে গেলাম। কোথাও কোনও সহযোগিতা লাগলে তাও সাহায্য করার কথা বলেছি।'