সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূলকে বিদায় জানালেন আরও এক বিধায়ক
- স্পিড পোস্টে পাঠালেন নিজের ইস্তফাপত্র
- বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল
- এখন কোন পথে ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক
দলের মধ্যে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বেশ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক। দল তাঁকে এড়িয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করছিলেন তিনি। এই অবস্থায় দলকে নিজের ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিলেন দীপক হালদার। রাজীব-প্রবীর-রথীনের পর এবার দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক। এবার কি তাহলে তিনিও পদ্মফুলে নাম লেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-ঘন কুয়াশার জেরে বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারল বাইক, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু কয়েকজনের
সূত্রের খবর, সোমবার দুটি ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক। সশরীরে না গিয়ে স্পিড পোস্টে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রথম ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন তপসিয়ায় তৃণমূলের প্রধান কার্যালয়ে। আরও একটি পাঠিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বাড়িতে। কলকাতার হরিদেবপুরে তাঁর বাড়ির ঠিকানায় তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওই জেলায় তৃণমূলের হাত শক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা ছিল দীপক হালদারের। পাশাপাশি, তিনি শুভেন্দু চট্টোপাধ্য়ায়ের অনুগামী হিসেবেও পরিচিত।
আরও পড়ুন-বাজেটে কী কী পেল পশ্চিমবঙ্গ, জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ
২০১১ সালে ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন দীপক হালদার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাংগঠনিক পদে তাঁর দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নেপথে তাঁর নাম জড়ায়। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হয়নি বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। দলে থেকে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও আগেও অভিযোগ করেন। তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিয়ে দীপক হালদার বলেন, ''অনেক বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল। আমি চিঠি দিয়ে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি''।