সংক্ষিপ্ত

  •  ১৯৫১ সাল থেকে লালগোলা বিধানসভা কেন্দ্র কংগ্রেসের দখলে
  • এদিকে এখনও কৃষ্ণপুর  রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী সেড গড়ে ওঠেনি 
  • খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করে ট্রেন ধরতে হয় বাসিন্দাদের 
  • ভোটের মুখে ক্ষোভ জমেছে নিত্যযাত্রী থেকে সকল শ্রেনীর মানুষের 

স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সাল থেকে ৭০বছর ধরে লালগোলা বিধানসভা কেন্দ্র কংগ্রেসের দখলে থাকলেও, এখনও পর্যন্ত দশকের পর দশক পেরিয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার কৃষ্ণপুর  রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী সেড অর্থাৎ ছাউনি আর গড়ে ওঠেনি। ফলে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা খোলা আকাশের নিচে প্রতীক্ষা করে তবেই ট্রেন ধরতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের।স্বাভাবিক ভাবে ভোটের মুখে ক্ষোভ জমেছে নিত্যযাত্রী থেকে সকল শ্রেনীর মানুষের।

আরও পড়ুন, 'কীভাবে কড়া ডোজ দিতে হয় জানি', সৌমেন্দুর গাড়ি হামলাকাণ্ডে বিস্ফোরক শিশির 

 

লালগোলা-শিয়ালদহ শাখার প্রান্তিক স্টেশানের নাম কৃষ্ণপুর জংশান । ১৯০৫ সালে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু করে । একদা এই কৃষ্ণপুরে রেলের লোক  সেড থাকায় বেশ রমরমা ছিলো । এই স্টেশান থেকে লালগোলা ব্লক তো বটেই জঙ্গীপুর ও সাগরদীঘি ব্লকের একটা বড় অংশের মানুষ ট্রেন ধরে গন্তব্যে পৌঁছান ।কিন্তু চার প্লাটফর্ম বিশিষ্ট এই স্টেশানে এক ও দুই প্লাটফর্মে কয়েক মিটারের চাউনি ছাড়া এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনি নেই ।ফলে এই গ্রীষ্ম কালে যেমন প্রখর রৌদ্র তাপ নিয়ে মানুষ কে ট্রেন ধরতে হয় ,তেমনি বর্ষা কালে আচমকা বৃষ্টি পাত হলে অকাতরে বৃষ্টিতে ভিজে হয় ট্রেন ধতে হয় কিংবা যাত্রা বাতিল করে বাড়ি ফিরতে হয় ।

আরও পড়ুন, কে প্রলয় পাল,যাকে ফোন করে সাহায্য চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জানুন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাকে 

 

এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ জেলা রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশানের সম্পাদক এ আর খান বলেন ,'ভোট বলে কথা নয় । ওই স্টেশানে যাত্রী সেড নির্মাণের জন্য স্থানীয় নেতাদের যেমন দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ,তার পাশাপাশি রেল বোর্ডের কাছেও আবেদন করা হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় নি ।'অভিযোগ লালগোলা্র প্রায় ছ দশক ধরে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসছেন আবু হেনা , তাকেও এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি । ছোট্ট শিশু কে কোলে নিয়ে ট্রেন ধতে আসা মৌসুমি চক্রবর্তী বলেন ,' ভাগ্যিস প্লাটফর্মে জায়গায় জায়গায় কয়েকটা বকুল গাছ ছিল ,ওই গাছের ছায়াতেই মাথা লুকিয়ে  বাচ্চা কে নিয়ে ট্রেন ধরলাম ।'

 

আরও পড়ুন, 'এমনটা সম্ভব নয়', দক্ষিণ কাঁথিতে EVM-এ তৃণমূলের ভোট চুরির অভিযোগ খারিজ কমিশনের 

 

 এদিকে যাত্রী নূরুদ্দিন খান , ফিরোজ ইসলাম রাজ বলেন , 'প্রতিনিয়ত এই স্টেশানে হাজার হাজার যাত্রী ওঠা নামা করেন কিন্তু তাদের কপালে সামান্য ছাউনি জোটে না । ফলে বয়স্ক , নারি এবং শিশুদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ।' ওই সব যাত্রীদের দাবি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ফের ইস্যু হবে কৃষ্ণপুর স্টেশানে যাত্রী ছাউনি এবং রেওয়াজ মেনে রাজনৈতিক নেতারা প্রতিশ্রুতি দেবেন অকাতরে ।