সংক্ষিপ্ত
লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পরেছে সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল । ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন রোগী, রোগী পরিবারের আত্মীয়-পরিজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
লাগাতার বৃষ্টিতে চরমভাবে জলমগ্ন হয়ে পরেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল ।অথচ জল সেঁচে পরিবেশের উন্নতি করার কোনও সদিচ্ছা লক্ষ করা যাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বলেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন রোগী, রোগী পরিবারের আত্মীয়-পরিজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ব্যাপারে সকলের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ লক্ষ করা যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন, Crime: পরীক্ষা চলাকালীনই হাতে পড়ল হাতকড়া, শহরে পুলিশের জালে ভুয়ো পরীক্ষার্থী
হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ দেওঘরিয়া রবিবার সংবাদমাধ্যমকে জানান ,'ইতিমধ্যে আমি এই পুরসভা কে জানিয়েছি । জল জমেছে বটে ,তবে ওই জল যাতে দ্রুত বের করা যায় সে ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে ।' লালগোলা,ভগবলগোলা,মুর্শিদাবাদ, জিয়াগঞ্জ থানা এলাকা তো বটেই এছাড়া সাগরদিঘি,নবগ্রাম, জঙ্গিপুর ও ইসলামপুর থানার একটি বড় অংশের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার পেতে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল ।অথচ একটানা বৃষ্টির ফলে এই হাসপাতাল চত্বর জলমগ্ন হয়ে উঠেছে । এর ফলে হাসপাতালের একাধিক কোয়ার্টার থেকে হাসপাতালের কর্মীরা যেমন হাসপাতালে ডিউটি করতে আসার পথে অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন , তেমনি বাইরে থেকে রোগী এবং রোগীর বাড়ির লোকজন হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতে গিয়েই বিপত্তির মুখে পড়ছেন । জল পেরিয়ে রোগীকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিয়ে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন বাইরে থেকে হাসপাতালে আসা মানুষ জন।
আরও পড়ুন, CBI: 'ভাইপোর ১২ কোটির বাড়িটা কি গাছ কেটে এল', কয়লাকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ
এই ব্যপারে রোগীর পরিবার এর সদস্য খাইরুল ইসলাম , সুব্রত সরকারেরা বলেন,'হাসাপাতালের অবস্থা যদি এই রকম হয় তাহলে মানুষ চিকিৎসা করাতে আসবেন কোন ভরসায় । হাসপাতালে জল জমেছে অথচ ওই জল বের করার কোনও ব্যাবস্থা করা হয়নি ।'এদিকে হাসপাতালের সামনেই রয়েছে বিশালাকার পুকুর , ওই পুকুরেও জমা জল ফেলা যায় সহজেও কিন্তু সেই উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি হাসপাতাল করতিপক্ষ কে ।এমন অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা । তাদের দাবি ওই পুকুর টির সঠিক ব্যবহার করা হলে যেমন হাসপাতালের মনোরম পরিবেশ গড়ে উঠবে তেমনি হাসপাতালের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও কোন সমস্যা থাকবে না । এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ পুরসভার প্রশাসক ললিতা দাস বলেন ,'আমরা আজ জল সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি । এর জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাম্প দিয়ে জল সেঁচার কাজ চলছে । আশা করছি এর ফলে হাসপাতালের জলও সরে যাবে।'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস